English Version
আপডেট : ১ এপ্রিল, ২০১৬ ১৭:০৩

অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে ভয়াবহ হুশিয়ারি!

অনলাইন ডেস্ক
অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে ভয়াবহ হুশিয়ারি!

অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে প্রাণরক্ষায় ব্যবহৃত ওষুধ ধীরে ধীরে কার্যকারিতা হারাচ্ছে। নতুন এক সমীক্ষায় এ ভয়াবহ হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। ১৯৬৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত ৩১টি সমীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে নতুন এ সমীক্ষা চালানো হয়েছে। আর এটি চালিয়েছে ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর ডিজিজি ডাইনামিক্স, ইকনমিক্স এবং পলিসি।

ব্যাপক ব্যবহারের পরিণামে প্রাণরক্ষায় জড়িত ওষুধ ধীরে ধীরে কার্যকারিতা হারাচ্ছে। এ সমীক্ষায় জড়িত গবেষকরা এমন সর্বনাশা প্রমাণ দেখতে পেয়েছেন।

তারা দেখেছেন, ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলাদের সিজারিয়ান অপারেশনের পর তাদের শরীরে মারাত্মক সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে আর এ সব সারিয়ে তোলা যাচ্ছে না।

৪৩ বছরের সমীক্ষার ভিত্তিতে গবেষকরা আরো দেখতে পেয়েছেন, অপারেশনের সময় সংক্রমণের শিকার হয়েছেন অনেক রোগীই; তাদের অর্ধেককেই প্রমিত বা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সারিয়ে তোলা যাচ্ছে না।

সিজারের সময় যে সব নারী সংক্রমণের শিকার হয়েছেন তাদের ৩৯ শতাংশই একই অবস্থায় পড়েছেন। এ ছাড়া, কেমোথেরাপির রোগীদের মধ্যে একই অবস্থায় পড়েছেন ২৭শতাংশ রোগী। গবেষকরা দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তা না হলে অপারেশন এবং কেমোথেরাপি চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।

ভবিষ্যতে সংক্রমণের হার কতোটা বাড়তে পারে তারও একটি হিসাব দিয়েছেন গবেষকরা। এ হিসাবে দেখা গেছে, অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা এক তৃতীয়াংশের কম হ্রাস পেলে প্রতি বছর আমেরিকায় আরো এক লাখ ২০ হাজার রোগী সংক্রমণের শিকার হবেন। এদের মধ্যে মারা যাবেন ১,২৬০ রোগী।

মানুষের এমন স্বাস্থ্য সংকট সৃষ্টির পেছনের কারণও তুলে ধরেছেন গবেষকরা। তারা বলেছেন, গত প্রায় ৫০ বছর ধরে অতিমাত্রায় প্রয়োগ করা হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক। এতে অ্যান্টিবায়োটিক ঠেকানোর সক্ষমতা অর্জন করেছে ব্যাকটেরিয়া।

এ ছাড়া, অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত বৃদ্ধির জন্য পশু-খাদ্যে অ্যান্টিবায়োটিক মিশিয়ে দেয় কৃষকেরা। আর এতেও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া তৈরির পথ সুগম হয়।