English Version
আপডেট : ৯ মার্চ, ২০১৬ ১০:৪৭

অ্যান্টিবায়োটিকে বাড়বে মানসিক রোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
অ্যান্টিবায়োটিকে বাড়বে মানসিক রোগ
কয়েক দিন ধরেই ব্যাথা, জ্বর, ঠান্ডাসহ কাঁশি। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা ভাবেননি। ওষুধের দোকান থেকে নিজেই কিনে এনেছেন অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট। ভেবেছেন কয়েকটা ট্যাবলেট খেলেই কমে যাবে অসুখ। কমবে গা ম্যাজম্যাজ করা। ভুল ভাবছেন।
 
সামান্য ট্যাবলেট খেলে হয়ত কমে যাবে ব্যাথা, জ্বর, ঠান্ডাসহ কাঁশি। কিন্তু জানেন কী তা আদতে বাড়িয়ে দেবে মানসিক সমস্যা। বেশি পরিমানে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে বেড়ে যাবে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অসুখের আশঙ্কা। এমনই দাবি আমেরিকার ব্রিগহ্যাম অ্যান্ড উইমেন্স হাসপাতালের এক দল গবেষক।
 
এই গবেষণার পিছনে আছেন শমিক ভট্টাচার্য নামে এক বাঙালি চিকিৎসক গবেষক। শমিকবাবুর মতে, এখন কার ব্যস্ত জীবনে সব সময় চিকিৎসকের কাছে যায় না সাধারণ মানুষ। নিজেই দোকান থেকে কিনে এনে ওষুধ খেয়ে ফেলি। তাতে হয় হিতে বিপরীত। সামান্য ওষুধের জন্য হয়ত দেহের তাপমাত্রা কমে গিয়ে জ্বরের থেকে উপশম মেলে। কিন্তু এতে বেড়ে যায় দেলিরিয়ামের মতো জটিল মস্তিষ্কের রোগের আশঙ্কা।
 
দেলিরিয়ামের কারণে মানসিক সমস্যা দেখা যায়। কোন কোন রোগী অল্পতেই রেগে যান। কোন কারণ ছাড়াই এমন ব্যবহার করেন তারা। কারোর কারোর আবার মতিভ্রম হয়। গত সাত দশক ধরে বিভিন্ন গবেষণা পত্র ঘেঁটে চিকিৎসকেরা দেখেন ৩৯১ রোগী যাদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছিল তাদের দেলিরিয়াম হয়েছে। 
 
ওষুধ চলাকালীন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বেড়ে যায় দেলিরিয়ামের সমস্যা। সবচেয়ে আশ্চর্যের, ওষুধ বন্ধ থাকলে রোগ তাড়াতাড়ি আক্রমণ করতে পারে না রোগীর দেহে। ৫৪ রকমের অ্যান্টিবায়োটিকের উপর গবেষণা চালানো হয়। এই পরীক্ষায় মেলে ৪৭ শতাংশ রোগী মতিভ্রমের সমস্যায় ভুগছে। বাকিরা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রন্ত হয়েছে। কারোর কারোর কিডনি ফেলিয়র হয়েছে। গবেষণা পত্রটি নিউরোলজির জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।