English Version
আপডেট : ৮ মার্চ, ২০১৬ ১৪:২৪

ফিট থাকতে পরিকল্পিত জিম

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফিট থাকতে পরিকল্পিত জিম

পরিকল্পনাহীনভাবে জিমে যাওয়ায় প্রকৃত উপকারটা কেউ পাচ্ছেন না। অথচ বর্তমান সময়ে নিজেকে ফিট রাখতে জিম একটি গুরুত্বপূর্ণ আইটেম হতে পারে। তাই নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন।

একটা কিছু করবার আগে দরকার কিছু চিন্তা-ভাবনা এবং একটা টার্গেট। নইলে ঐ করণীয় কাজটির ফলাফল মূল্যায়নটা সবসময়ই আড়ালেই থেকে যায়। তেমনি যারা নিজেদের শারীরিক ফিটনেস সৌন্দর্য আনার জন্য নিয়মিত জিমে যাচ্ছেন তাদের উচিত জিমে যাওয়ার পরিকল্পনা এবং প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা।

জিমে যাওয়ার লক্ষ্য নিচে দেওয়া পরামর্শগুলো ফলো করতে পারেন…

জিমে ভর্তি হওয়ার পূর্বে আপনার ফিটনেসের প্ল্যানিং করে নিন। বাড়ির কাছাকাছি কোনো জিমে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করুন এতে টাইম ম্যানেজম্যান্ট খুব ভালো হবে। এ ছাড়াও জিম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সময় নিন এবং সর্বোচ্চ সেবাদানকারী কোনো জিমে ভর্তি হোন। জিমের ট্রেইনারের সাথে নিজের ফিটনেস গোল বা লক্ষ্য কী তা শেয়ার করুন এবং সে অনুযায়ী ট্রেইনারের দেওয়া লাইন-আপ ফলো করুন।

ফিটনেস এক্সপার্টের উপস্থিতিতে ফিটনেস ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করুন। কোনো ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করতে সমস্যা হলে এক্সপার্টের পরামর্শ নিন। জিমের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক, জুতা, টাওয়েল, ব্যাগসহ প্রয়োজনীয় জিনিস বাছাই করুন এবং জিমে যাওয়ার সময় নিজের সাথে রাখুন। হুট করে আস্তে আস্তে জিমে সময় বাড়ান। এতে এক্সারসাইজের দখলটা শরীর ও মন সহজেই মানিয়ে নিতে পারবে।

জিমের ট্রেইনার বা পরামর্শক প্রদত্ত খাদ্যতালিকা সবসময় মেনে চলুন। জিম থেকে ফিরে বাসায় কিছুক্ষণ অবস্থান নিন। তারপর আপনার অফিস বা কাজে যান। সকাল-বিকাল যখনই জিমে যান না কেন টাইম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারে নজর দিন।

খুব বেশি কাজের চাপ থাকলে চেষ্টা করুন অন্তত সপ্তাহে তিনদিন জিমে যাওয়ার। হঠাৎ করেই জিমে যাওয়া বন্ধ করবেন না। বরং নিয়মিত কয়েক মাস যাওয়া-আসা করুন দেখবেন এটা নিত্যদিনের কাজের একটা অপরিহার্য রুটিন হয়ে দাঁড়াবে। কিছু হচ্ছে না, আমাকে দিয়ে হবে না-এ জাতীয় ভাবনা না ভেবে এক্সারসাইজের প্রতি পজিটিভ মনোভাব এবং ধৈর্য রাখুন। নিজেকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাখুন। সাথে নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন।

আপনি যখন আপনার টার্গেট অনুযায়ী ফিটনেস দেখে আনন্দে চমকে উঠবেন সে মুর্হূতটা কেবল সময়ের ব্যাপার।