English Version
আপডেট : ৪ মার্চ, ২০১৬ ১৫:৩২

নতুন পদ্ধতিত সার্জারি ছাড়াই মেরুদন্ডের ব্যাথা থেকে মুক্তি

অনলাইন ডেস্ক
নতুন পদ্ধতিত সার্জারি ছাড়াই মেরুদন্ডের ব্যাথা থেকে মুক্তি

 

বিশ্বের প্রায় আশিভাগ মানুষ জীবনের কোন না কোন সময় কোমর আর পিঠের ব্যাথায় ভুগেন। এই অসহ্য ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধকেই বেছে নেন সবাই। কিন্তু ওষুধের তো পার্শপ্রতিক্রিয়া আছে। কিন্তু কোনপ্রকার ওষুধ কিংবা অপারেশন ছাড়াই পেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের দ্বারা এই ব্যাথা নির্মূল সম্ভব।

ওয়ার্ল্ড ইনস্টিটিউট অব পেইন –এর ভারতীয় প্রধান ডা: গৌতম দাস বলেছেন, কোমর বা পিঠের ব্যাথার অন্যতম কারন মেরুদন্ডে অসুবিধা। একটা কথা জেনে রাখা দরকার যে মেরুদন্ডের ব্যাথা প্রচলিত চিকিৎসায় এবং ফিজিওথেরাপী দ্বারা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ব্যাথা এত তীব্র হয় যে জীবনযাপন করা মুশকিল হয়ে পড়ে।

ব্যাথা কেন হয়?

আমাদের শিরদাঁড়া মোট ২৬ টি ছোট ছোট হাড়ের টুকরো দিয়ে তৈরি। এই হাড়গুলিকে একটির সাথে অপরটিকে জুড়ে রাখে ফ্যাসেন্ট জয়েন্ট। আর দুটি হাড়ের মাঝখানে থাকে জেলি ভর্তি বেলুনের মত চ্যাপ্টা ডিস্ক। এই পুরো অংশটিকে আবার ধরে রাখে কয়েক ধরনের লিগামেন্ট। লিগামেন্টের বাইরে থাকে কিছু মাংসপেশী। মেরুদন্ডের মাঝখানে থাকে একটা লম্বা নলের মত অংশ। এর মধ্যে থাকে সুষুম্নাকান্ড অর্থাৎ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র। কোন কারনে এই নার্ভে চাপ পড়লেই ব্যাথা শুরু হয়। গবেষণায় দেখা গেছে মেরুদন্ডে ব্যাথার কারন হলো ডিস্ক, ফ্যাসেট জয়েন্ট এবং নার্ভ রুট। এই ব্যাথা কমানোর প্রচলিত পদ্ধতি সার্জারি; কিন্তু এতে সাফল্যের হার আশাপ্রদ নয়। রোগ ফিরে আসে অনেক ক্ষেত্রেই। প্রচলিত পদ্ধতিতে চিকিৎসার চাইতে ইন্টারভেনশনাল চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া গেছে।

পেইন কিলার বাদ দিন

প্রথমেই জানাই পেইন কিলার আপনার ব্যাথার সাময়িক উপশম করে। এটা দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়। অনেকেই দোকান থেকে সমানে ব্যাথার ওষুধ কিনে খেতে থাকেন। এর ফলে দীর্ঘস্থায়ী পেটের সমস্যা তৈরি হয় এবং আসল রোগ চাপা পড়ে যায়।

ইন্টারভেনশনাল পদ্ধতি কি?

এই পদ্ধতিতে কোন রকম কাটা-ছেঁড়া ছাড়াই ছোট্ট ছিদ্রের মাধ্যমে বিশেষ প্রসিডিওরের সাহায্যে মেরুদন্ডেএর সবরকম ব্যাথা সারানো সম্ভব। এর জন্য হাসপাতালে ভর্তি হবারও প্রয়োজন হয়না। সচেতনতার অভাবে আমাদের দেশে এই পদ্ধতি প্রচলিত নয়। অথচ সার্জারি করতে গেলে এর চাইতে কয়েকগুণ বেশী খরচ পড়ে কিন্তু আখেরে কোন লাভই হয়না। বিশেষ ডিগ্রী ও প্রশিক্ষণ ছাড়া এই চিকিৎসা করা সম্ভব না। ভারতের কলকাতায় মুষ্টিমেয় কয়েকজন ডাক্তার আছেন যারা ইন্টারভেনশনাল পদ্ধতিতে চিকিৎসা করে থাকেন।