ব্রেস্ট এনলার্জমেন্ট সম্পর্কে জানুন; ডায়েট, সাপ্লিমেন্টে না সার্জারি?

সিনেমার নায়িকা বা মডেল শুধু নয়, তাদের দেখাদেখি অনেক নারীই এখন বক্ষসৌন্দর্য বাড়াতে ব্রেস্ট এনলার্জমেন্টের দিকে ঝোঁকেন। সার্জিক্যাল এবং নন-সার্জিক্যাল, দু’রকম ভাবেই এনলার্জমেন্ট করা যায়। গত শতাব্দীর শেষ থেকেই ব্রেস্ট এনলার্জমেন্ট সম্পর্কে নানা লেখালেখি শুরু হয় পত্রপত্রিকায়। তাছাড়া মাসাজের মাধ্যমে ব্রেস্টের শেপ সুন্দর করা বা ব্রেস্ট সাইজ বাড়ানোর প্রবণতা আজকের কথা নয়, প্রাচীন কাল থেকেই হয়ে আসছে। বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক তেল মাসাজ করলে স্যাগিং ব্রেস্টের শেপ ঠিক করা যায় বলেও দাবি করা হয়। কিন্তু সে সব ছাড়া আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিভিন্ন ধরনের সার্জারির সুযোগ রয়েছে। যেমন:
১। ফ্যাট গ্র্যাফটিং: ছোট স্তন এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে অবাঞ্ছিত মেদ থাকলে তা দেখতে খারাপ লাগে। এই নিয়ে বিমর্ষতায় ভোগেন বহু মহিলা। এই সমস্যার সমাধান হল ফ্যাট গ্র্যাফটিং। শরীরের মেদবহুল অংশ, যেমন থাই বা তলপেট থেকে মেদ বের করে নিয়ে তা ইনজেক্ট করা হয় ব্রেস্টে।
২। সিলিকন অথবা স্যালাইন ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট: ইমপ্লান্টের অর্থ কৃত্রিম অঙ্গ। অগমেন্টেশন ম্যামোপ্লাস্টি সার্জারির মাধ্যমে গর্ভধারণের পরে স্যাগিং হওয়া ব্রেস্টের শেপ ঠিক করা হয়, কখনও ব্রেস্ট সাইজ বাড়ানো হয়, কখনও আবার ছোট ব্রেস্টের সাইজও বাড়ানো হয়। ইমপ্লান্টগুলি হল সিলিকনের শেল যাতে স্যালাইন ভর্তি থাকে অথবা থাকে সিলিকন জেল থাকে। অনেক সময় সয় অয়েল এবং পলিপ্রপিলিন স্ট্রিং দিয়েও তৈরি হয় ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট শেল। মোট তিনটি জায়গায় এই ইমপ্লান্ট সার্জারি হয়— ব্রেস্টের ঠিক তলার ভাঁজে, আর্মপিটের আশপাশে, স্তনবৃন্তের আশপাশে।
সার্জারি কি ভাল? ব্রেস্ট এনলার্জমেন্ট খুব বিপজ্জনক সার্জারি না হলেও অপারেশনের পরে বেশ কিছুদিন অনেক নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। সার্জারির পরে কিছু বিশেষ এক্সারসাইজ করতে হয় এবং শারীরিক পরিশ্রম করাও বারণ থাকে অনেকদিন। ইমপ্লান্ট ভাল সার্জনকে দিয়ে না করালে রাপচার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সিলিকন ইমপ্লান্টগুলি, স্যালাইন ইমপ্লান্টের থেকে কার্যকরী বেশি। তাছাড়া এই ইমপ্লান্টগুলি দেখলে বা স্পর্শ করলে স্বাভাবিকই মনে হয়। ২২ বছরের কম বয়সীদের সিলিকন ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট করা হয় না। আর এমনিতেই ১৮ বছরের কম বয়সীদের একেবারেই এই সার্জারিত যাওয়া উচিত নয়।
সার্জারি ছাড়া এনলার্জমেন্ট
সার্জারি ছাড়াও এনলার্জমেন্ট সম্ভব। ব্রেস্ট মাসাজের কথা এখন সবাই জানেন। কিন্তু মাসাজ ছাড়াও আরও অন্য উপায় রয়েছে—
১। ওয়াল প্রেস, আর্ম সার্কল্স, চেস্ট প্রেস, পুশ আপ ইত্যাদি এক্সারসাইজে ব্রেস্টের সাইজ বাড়ে।
২। ইস্ট্রোজেন সমৃদ্ধ খাবার ব্রেস্ট এনলার্জমেন্টে সাহায্য করে। সয়াবিন, কাবলি ছোলা, দুগ্ধজাত খাবারে ইস্ট্রোজেন বাড়ে শরীরে। তাছাড়া শরীরে যত বেশি বাড়ানো যায় গুড ফ্যাট, ততই ব্রেস্টের সাইজ বাড়ার সম্ভাবনা। অলিভ অয়েল বা সানফ্লাওয়ার অয়েল এক্ষেত্রে ভাল।
৩। হার্বাল সাপ্লিমেন্টেও বাড়ানো যায় ব্রেস্ট সাইজ। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এগুলি খাওয়া উচিত নয়।