English Version
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ২০:৩৯

যৌনমিলনের পর রক্তপাত? সার্ভিক্যাল ক্যান্সার নয়তো?

অনলাইন ডেস্ক
যৌনমিলনের পর রক্তপাত? সার্ভিক্যাল ক্যান্সার নয়তো?

 

সার্ভিক্স হল ইউটেরাসের তলার অংশ যা যোনির সঙ্গে সংযুক্ত। এই অংশে ক্যান্সারের কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস বা এইচপিভি। এই ভাইরাসটি যৌন সংসর্গ থেকেই ছড়ায়। বিভিন্ন ধরনের এইচপিভি ভাইরাস রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ ধরনের কিছু ভাইরাস থেকেই হয় সার্ভিক্যাল ক্যান্সার। অনেক সময় এইচপিভি সংক্রমণ আপনা আপনিই সেরে যায়। আবার অনেক সময়েই তা ক্যান্সারের কারণ হয়ে সারা পৃথিবীতেই প্রচুর মহিলা সার্ভিক্যাল ক্যান্সারে আক্রান্ত। যোনি থেকে রক্তপাত বা অস্বাভাবিক ডিসচার্জ এই ক্যানসারের লক্ষণ। কীভাবে বুঝবেন আর কীসেই বা প্রতিকার হবে, জেনে নিন।

কীভাবে বুঝবেন?

প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে সহজেই সেরে যায় এই ক্যান্সার কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেলে, যদি ভাইরাসটি দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে তবে মৃত্যু অনিবার্য। নীচের যে কোনও একটি লক্ষণ দেখলেই ‘প্যাপ‌্‌সমিয়ার’ পরীক্ষা করাবেন—

১) সঙ্গম করার পর বা দু’টি মেনস্ট্রুয়াল সাইকলের মধ্যবর্তী সময়ে বা মেনোপজ হয়ে যাওয়ার পরেও যদি যোনি থেকে রক্তপাত হয়

২) তলপেটে বা পেলভিসে যদি ধারাবাহিকভাবে যন্ত্রণা হতে থাকে

৩) সঙ্গম করার সময় যদি যন্ত্রণা হয়

৪) যোনি থেকে যদি এমন কিছুর ক্ষরণ হয় যা স্বাভাবিক নয়

প্যাপস্‌মিয়ার পরীক্ষাটি কোনও ভাল হসপিটাল থেকে করানোই ভাল কারণ এই পরীক্ষার জন্য যোনির ভিতরের, সার্ভিক্সের মুখ থেকে ‘ফ্লুইড’-এর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই নমুনা পরীক্ষা করে ক্যানসারের লক্ষণ পেলে চিকিৎসকেরা আরও অন্যান্য পরীক্ষা করান বা বায়োপসি করতে বলেন। এই নমুনা সং‌গ্রহ করার প্রক্রিয়াটি কোনও গাইনোকলজিস্টের তত্ত্বাবধানে করা আবশ্যক।

কোনও লক্ষণ থাকুক বা না থাকুক ৩০ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের সাধারণত বছরে দু’বার এই পরীক্ষা করা ভাল। নাহলে বছরে অন্তত একবার অবশ্যই এই পরীক্ষা করা উচিৎ। এইচপিকভি ভাইরাস এমনই যে অনেক সময়ে কোনও লক্ষণই থাকে না অথচ শরীরে বাসা করে ফেলে সার্ভিক্যাল ক্যান্সার।  

কী করে সংক্রামিত হয় এইচপিভি?

এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ায় যৌন সংসর্গের ফলে। সচরাচর খুব অল্প বয়স থেকে নিয়মিত যৌনজীবন যাপন করলে বা বহুজনের সঙ্গে শারীরিক সংসর্গ করলে এই ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাছাড়া শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলেও খুব দ্রুত বাসা বাঁধে এই ভাইরাস। তাই অবহেলায় কিংবা লজ্জায় জীবন না হারিয়ে সতর্ক হোন।