আজকাল সুগার, ডায়াবেটিস অনেকটাই ঘরে ঘরে। আজকাল বয়সও কোন ফ্যাক্টর নয় ডায়াবেটিস রোগের কাছে। কিন্তু এই দু’টি সমস্যা নিয়ে নানা ভুল ধারণা গেঁথে গিয়েছে কোনও না কোনওভাবে। যে কারনে অনেকসময়ই ডায়াবেটিসের কারনে স্বাভাবিক জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। জেনে নিন সেই ভুল ধারণাগুলি:

১. চিনি বা মিষ্টি খেলে সুগার হবে এটা ভিত্তিহীন কথা। তবে আগে থেকে সমস্যা থাকলে বা পারিবারিকভাবে সুগারের সমস্যা থাকলে মিষ্টি এড়ানো ভাল

২. সুগার ধরা পড়লেই ওষুধ খাবেন না এই চিন্তা মাথাতেও আনবেন না। অনেকেই বলেন, একবার ওষুধের চক্রব্যূহে ঢুকলে নিস্তার নেই। সুস্থ থাকতে হলে ওষুধ খেতে হবে।

৩. কেটে গেলে দ্রুত রক্ত জমাট বাঁধে, তাই ডায়াবেটিস নেই এটা ভাবার কোন কারন নেই। কারন সর্বদা এই তত্ত্ব সঠিক নয়। সন্দেহ থাকলে, পরীক্ষা করিয়ে নিন।

৪. প্রস্রাবে পিঁপড়ের দল জুটেছে। প্রস্রাবে শর্করার মাত্রা বিপুল পরিমাণে বেড়ে গেলে এটা হতে পারে। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত নিজেকে সুস্থ মনে করার কোনও কারণ নেই।

৫. ডায়াবেটিস ছোঁয়াচে এটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য।

৬. সুগার বা ডায়াবেটিসে মিষ্টি পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে এই ধারণাও ভুল। অল্পসল্প খাওয়া যেতেই পারে। কারন সুগার নেমে পড়লে মৃত্যু অনিবার্য।

৭. সুগার বা ডায়াবেটিস হলেই বিশেষ খাওয়াদাওয়া এই ধারণাও ভুল। স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া করুন। তবে সবই নিয়ন্ত্রিত।

৮. ডায়াবেটিস হলেই ব্লাড প্রেশার বাড়ে এটা ঠিক নয়। ডায়াবেটিস রোগীদের উচ্চরক্তচাপ দেখা যায় ঠিকই, কিন্তু তা নেহাতই কাকতালীয় হতে পারে। প্রত্যক্ষ যোগাযোগ নেই।

৯. ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে সন্তানের জন্ম দেওয়া যায় না এটাও ঠিক নয়। ডায়াবেটিস হলে জন্ম দেওয়ার ক্ষমতায় কোনও প্রভাব পড়ে না। তবে উত্তরাধিকার সূত্রে সমস্যা চলে যেতে পারে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে।

১০. চিকিৎসা পরে করালেও হবে এই ভেবে বসে থাকবেন না। যত দেরি করবেন, জটিলতা তত বাড়বে।

১১. ফাস্টিং-এ সুগার লেভেল কমেছে মানেই সুস্থ মনে করবেন না নিজেকে। না-খেয়ে থাকলে সুগার এমনিই কমে যায়।

১২. জীবনে আর কিছুই করা যাবে না এটা ভেবে হতাশ হয়ে বসে থাকলে চরম বোকামি করবেন। ডায়াবিটিজ নিয়ে দুনিয়া চষে বেড়াচ্ছেন, কাজের পাহাড় বইছেন, এমন উদাহরণ কত চাই?