English Version
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৩:২৯

শতায়ু হওয়ার করণ-কৌশল

অনলাইন ডেস্ক
শতায়ু হওয়ার করণ-কৌশল

চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর— মান্না দে-র সুপারহিট গানটাকে মাথায় রেখেও বলা যায়, দীর্ঘজীবনের কামনা করেন না, এমন মানুষ কেউ রয়েছেন কি?  প্রাচীন প্রবাদ বলে, শত শরৎ মানুষের আয়ু। কিন্তু দুঃখী, সুখী আর ভ্রষ্টাচারীরা নাকি ততদিন বাঁচেন না। সেদিক থেকে দেখলে শতায়ু হওয়া মোটেই সহজ কাজ কোনও দিনই ছিল না। হাতে গোনা যে কয়েকজন ১০০ বছরের জন্মদিনে এক ফুঁয়ে মোমবাতি নেবান, তাঁদের দিকে তাকিয়ে মনে হতেই পারে এমনটা যদি আমার জীবনেও...।

মার্কিন দেশের একটি সাম্প্রতিক গবেষণার বিযয়বস্তুই ছিল শতায়ু মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে ড্রিবলিংয়ের রহস্যভেদ। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বা সংক্ষেপে সিডিসি-র ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেল্থ স্ট্যাটিস্টিক্স সে দেশের শতায়ুদের উপরে একটি সার্ভে চালিয়ে উদ্ধার করেছে কিছু আশ্চর্য তথ্য।

গবেষণা জানাচ্ছে, ২০০০ সালে শতায়ুদের সংখ্যা যা ছিল, তার চাইতে ২০১৪-এ তা বেশ খানিকটা বেড়েছে। এই শতায়ুদের মধ্যে অধিকাংশই নাকি নারী। বিশেষজ্ঞরা অনেকেই একটা সরল প্রগতির কাহিনিকে এখানে বলে থাকেন। তা হল বিংশ শতকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অসামান্য অগ্রগতির কাহিনি।

হিসেব বলছে, শতায়ুদের অধিকাংশেরই মৃত্যু হয় হৃদরোগে, অ্যালঝাইমারে, ফ্লু বা নিউমোনিয়ায়। ২০০০-২০১৪ পর্বে শতায়ুদের মৃত্যুর অন্যতম কারণই দেখে যাচ্ছে অ্যালঝাইমার। কিন্তু এটাও ঠিক, তাঁদের ক্ষেত্রে এই রোগের প্রভাব পড়ে ধীর মাত্রায়। সেখানে সংযত ও টেনশন-মুক্ত, স্ট্রেস-মুক্ত জীবনকেই কারণ হিসেবে দেখছেন তাঁরা।

তাহলে কি আবার ভাবতে হবে সেই পুরনো প্রবাদ? শত শরৎ মানুষের আয়ু। কিন্তু দুঃখী, সুখী আর ভ্রষ্টাচারী ততদিন বাঁচে না।