English Version
আপডেট : ২১ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৬:১৩

এবছর থেকেই মানুষের জীবন বাঁচাবে কৃত্রিম ব্রেন-লিভার-কিডনী

অনলাইন ডেস্ক
এবছর থেকেই মানুষের জীবন বাঁচাবে কৃত্রিম ব্রেন-লিভার-কিডনী

 

লিভার-কিডনীর জন্য এখন আর দাতা খুঁজতে হবে না। কারন বিজ্ঞানীরা পরীক্ষাগারেই তৈরি করে ফেলেছেন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য এই অঙ্গগুলি। তাই ২০১৬ সাল কে বলা হচ্ছে অর্গ্যানয়েডস-এর বছর। বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষের ফলে কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া অনেক বড় বড় রোগ এখন কোন বিষয়ই নয়। সেই বিজ্ঞানীরা সাম্প্রতিক কৃত্রিম লিভার, কিডনী, অন্ত্র এমনকি মস্তিষ্ক ল্যাবে তৈরি করতে সফল হয়েছেন! এই আবিস্কার মানবদেহে কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপন করে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক আমূল পরিবর্তন আনবে।

ঠিক যেভাবে নতুন অষুধ পরীক্ষা করা হয় ঠিক সেভাবেই আপাতত পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে অর্গ্যানয়েডস। জানা গেছে এবছরই এগুলো বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা শুরু হবে। দুটি পরীক্ষার নাম হলো সিস্টিক ফাইব্রোসিস এবং দ্বিতীয়টি পেটের ক্যন্সার চিহ্নিত করার। এই দুটি পরীক্ষা সম্পন্ন হলেই বাজারে ছাড়া হবে অর্গ্যানয়েডস।

তাহলে কীভাবে তৈরি করা হয়েছে এই কৃত্রিম অঙ্গগুলি?এর প্রধান উপাদান হলে স্টেম সেল যা ভ্রুণের মধ্যে উপস্থিত। এই কোষগুলি শরীরে মুল অঙ্গ থেকে নেয়া হয়। অনেক সময় ত্বকের নির্দিষ্ট কিছু বায়োকেমিক্যালস এর প্রভাবে স্টেম সেলে রুপান্তরিত করা হয়। এই পদ্ধতিতে তৈরি অর্গ্যানয়েডস এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির জিনগত বৈশিষ্ট্য উপস্থিত থাকে। এই কারনে সেই ব্যাক্তির শরীরে যে সমস্ত ওষুধ কারজ করে তার সবই বিকল্প অঙ্গের চিকিৎসায় কাজে দিবে।

কৃত্রিম লিভার তৈরিতে কাজ করছেন জাপানের ইয়োকোহামার বিজ্ঞানী তাকানোরি তাকেবে ও তাঁর সহকর্মীরা।লিভারের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হলো এর বেড়ে চলার ক্ষমতা। বিজ্ঞানীদের মতে এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যই মানবদেহে কৃত্রিম লিভার সংযোজনের জন্য সহায়ক। মানবদেহে সংযোজনের আগে এই কৃত্রিম লিভার মাদকসেবীদের দেহের বিষক্রিয়া কাটিয়ে উঠতে পারে কিনা সেটা পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষা সফল হলে যকৃতের বিভিন্ন রোগে সহজ সমাধান হবে বলে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন।

শুধু অসুস্থ মানুষের দেহে প্রতিস্থাপন নয়, এই জ্ঞান কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানীরা মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ তৈরির ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবেন। কৃত্রিম অঙ্গ বেড়ে উঠার সময় কি কি সমস্যা হতে পারে সেটাও বোঝা যাবে।কৃত্রিম মস্তিষ্কের দ্বারা ভবিষ্যতে অটিজম, মানসিক রোগ সহ মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগের সহজ সমাধান হবে। সম্প্রতি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ফ্লোরা ভ্যাক্কারিনো এবং তার দল ব্রেন অর্গ্যানয়েডস কাজে লাগিয়ে অটিজম এর চিকিৎসায় নতুন দ্বার উন্মুক্ত করেছেন। এই গবেষণা জটিল স্কিৎজোফ্রোনিয়া নিরাময়েও ভুমিকা রাখবে বলে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন।