English Version
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৬:১৯

স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর ছয়টি উপায়

অনলাইন ডেস্ক
স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর ছয়টি উপায়

 

 

সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের সংখ্যা বাড়ছে। এদেশের রক্ষণশীল সামাজিক প্রেক্ষাপটের কারনে বেশীরভাগ নারীই লজ্জায় স্তনের সমস্যা গোপন রাখেন। এই গোপনীয়তা একদিন অকালমৃত্যু ডেকে আনে। স্তন ক্যান্সার এক ধরণের মারত্মক টিউমার যা স্তনের টিস্যু থেকে প্রাথমিকভাবে শুরু হয়। অনেকেই জানেন না যে এই রোগ পুরুষেরও হতে পারে। নারী-পুরুষ কেউই এর ঝুঁকি থেকে মুক্ত  নয়। তাই সংকোচ বর্জন করে স্তনে কোনরকম গুটির আবির্ভাব হলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। আক্রান্ত হবার আগেই যদি স্তন ক্যান্সার থেকে সতর্ক হওয়া যায় তবে কিন্তু আরও ভাল। আসুন স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর কিছু উপায় দেখে নেই।

১. মদ্যপান কমিয়ে দিন : অতিরিক্ত মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে সেটা আজই নিয়ন্ত্রণে আনুন। মদ্যপান স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। দিনে এক থেকে দুই পেগ এর বেশী এ্যালকোহল গ্রহণ করলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।

২. শাকসব্জি ও ফলমুল : শাকসব্জি ও ফলমুলের মত উপকারী খাবার কমই আছে। জেনে রাখুন প্রচুর শাকসব্জি ও ফলমুল সেবন করলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে যায়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শাকসব্জি ও ফলমুল রাখুন।

৩. ওজন নিয়ণ্ত্রনে রাখুন : বাড়তি ওজন স্তন ক্যান্সারের অন্যতম কারন। আপনার বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই ২৫ এর নিচে রাখুন। মেয়েদের জন্য এটা অতি জরুরী। মোনাপেজ (স্থায়ীভাবে মাসিক বন্ধ হওয়া) হয়ে যাওয়া মহিলাদের অতিরিক্ত ওজন স্তন ক্যান্সার ডেকে আনতে পারে।

৪. ব্যায়াম : দেহ সুস্থ রাখতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। কোন অজুহাতেই ব্যায়াম ত্যাগ করবেন না। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ৭৫ মিনিট থেকে দুইঘন্টা হাঁটলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।

৫. বুকের দুধ খাওয়ানো : সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর ভুমিকা পালন করে। ডাক্তাররা তাই সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য সবসময় পরামর্শ দেন। এটি মা এবং সন্তান উভয়ের জন্য মঙ্গলজনক।

৬. ধুমপান ত্যাগ করুন : হ্যাঁ আপনি নারী বা পুরুষ যেই হোন না কেন ধুমপানের অভ্যাস থাকলে তা জরুরীভাবে ত্যাগ করুন। ধুমপানের অসংখ্য ক্ষতিকারক দিকগুলির মধ্য একটি হলো স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করা।

এছাড়া স্তনে কোন অস্বাভাবিকতা বোধ করলে জরুরীভাবে ডাক্তারের কাছে যান। স্তনে গুটি হলে প্রাথমিক অবস্থায় ব্যাথা নাও হতে পারে। তাই অবহেলা করবেন না। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ ধরা পড়লে অনেক ক্ষেত্রেই নিরাময় সম্ভব।