জগৎ ও জীবনের নানা জটিলতায় এবং বিভিন্ন বদঅভ্যাসের দরুণ হার্ট এ্যাটাক এখন এক আতঙ্কের নাম। এটি তেমন কোন পূর্বাভাস না দিয়েই আক্রমণ করে বসে। প্রিয়জনের হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে সাধারণত মাথা কাজ করে না। অথচ এই সময়ই মাথা ঠান্ডা রাখা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এই সময় না বুঝে কিংবা ঘাবড়ে গিয়ে দেরি করে ফেলা মানে বিপদের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাওয়া। জেনে নিন প্রিয়জনের হার্ট এ্যাটাক হলে তাৎক্ষণিক কী করবেন। তার আগে আপনাকে বুঝতে হবে যে আক্রান্ত ব্যাক্তির হার্ট এ্যাটাক হয়েছে কিনা? 

দেখে নিন হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ:

১। বুকে ক্রমাগত ব্যথা হবে, এবং ব্যাথা চোয়াল, কাঁধ, দাঁত, গলা, হাতে

 ছড়িয়ে পড়তে পারে

২। হঠাৎ পালস রেট খুব বেড়ে যাওয়া বা একেবারে কমে যাওয়া।

৩। বুকে মাঝখানে অস্বস্তিকর চাপ অনুভব করা, ভারী ভারী ভাব।

৪। অতিরিক্ত ঘাম

৫। নি:শ্বাস ছোট হয়ে আসা।

৬। মাথা ঘোরা, জ্ঞান হারানো।

৭। বমি বমি ভাব।

এসব লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিতে হবে। অবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্স কল করুন বা ডাক্তারকে ফোন করুন। বাড়িতে নিজের গাড়ি থাকলে নিজেরাও নিয়ে যেতে পারেন। সেটাও না থাকলে দ্রুত গাড়ির ব্যাবস্থা করে রোগীকে হাসপাতালে নিন। তবে খেয়াল রাখবেন যেন রোগীর সঙ্গে সারাক্ষণ কেউ থাকে।

চিকিৎসা শুরুর আগের কিছু ফার্স্ট এইড : গাড়ি বা এ্যম্বুল্যান্স আসার অপেক্ষায় কিছু না করে বসে থাকলে চলবে না। বরং রোগীকে কিছু ফার্স্ট এইড দিতে পারেন।

১। প্রথমেই রোগীকে রিল্যাক্সড অবস্থায় নিয়ে আসুন। দেয়ালে ঘাড়, মাথা কাঁধ হেলান দিয়ে হাঁটু মুড়িয়ে রোগীকে মাটিতে বসান। এভাবে বসালে রক্তচাপ কমবে।

২। রোগীর যদি অ্যাসপিরিনে অ্যালার্জি না থাকে তবে অ্যাসপিরিন দিন। এই সময় ৩০০ গ্রাম অ্যাসপিরিন চিবিয়ে খেতে পারলে এ্যাটাকের ধাক্কা অনেকটাই সামলানো যাবে।

৩। এই সময় রোগী মানসিক শক পেতে পারেন। জীবনের ঝুঁকি রয়েছে বুঝতে পারলে শক পাওয়া খুব স্বাভাবিক। তাকে সাহস দিন। তিনি সেরে উঠবেন-এই অনুপ্রেরণা দিন।

৪। ক্রমাগত শ্বাস, পালস রেট ও রোগী কেমন সাড়া দিচ্ছেন তা চেক করতে থাকুন।

৫। রোগী যদি অজ্ঞান হয়ে যায় তবে সিপিআর-এর সাহায্য নিন।

ভিডিওটিতে দেখুন কিভাবে সিপিআর করতে হয়: