English Version
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০১:৫০

নিজেকে নৌকার মাঝি বললেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহি

অনলাইন ডেস্ক
নিজেকে নৌকার মাঝি বললেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহি

প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এরপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করে তার দোয়া নেন। মাহি বলেন, আমি নৌকা পাইনি, কিন্তু আমিও একজন মাঝি।

আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন দাবি করেন তিনি।

মাহিয়া মাহি বলেন, নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে জিতবো বিষয়টি ওইভাবে নিচ্ছি না। কারণ আমি নিজে মনে প্রাণে আওয়ামী লীগকে ধারণ করি। আমি নৌকা পাইনি, কিন্তু আমিও একজন মাঝি। সেখানে আরো একজন নৌকার মাঝি আছেন। তাদের মধ্যে ভোটাররা ভোট দিয়ে যাকে জয়ী করবেন, সেই আসলে নৌকার মাঝি হবেন। বিষয়টি ওইভাবে ধরেই আমি এগোচ্ছি।

এক প্রশ্নের জবাবে মাহি বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক হিসেবে যে কোনো জায়গা থেকে নির্বাচন করতে পারি। রাজশাহী ১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ দুটোই আমার এলাকা। দুই জায়গায় আমার বেড়ে ওঠা, বড় হওয়া। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি এলাকার মানুষের জন্যই। তারা জোর করে বলেছে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। তাদের কারণেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি।

রাজশাহী-১ আসনের সতন্ত্র প্রার্থী মাহি বলেন, আমি শতভাগ আশাবাদী আমার জনপ্রিয়তা দিয়ে তাদের শাসক নয়, সেবক হবো। আর এলাকার মানুষকে আমি সেবা দিব। আমার বিশ্বাস আমি বিজয়ী হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী মায়ের মমতায় আমাকে বরণ করে নেবেন। 

এর আগে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ করে বঙ্গবন্ধুসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ দুই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ফরম সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আসন থেকে মনোনয়ন না পেয়ে রাজশাহী ১ আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হন নায়িকা মাহিয়া মাহি। পরে নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল থাকায় তার প্রার্থিতা বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে ঢাকাই সিনেমার এই নায়িকা নির্বাচন কমিশনে আপিল করে (১১ ডিসেম্বর) প্রার্থিতা ফিরে পান।