English Version
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৫:৫৫

খুব তাড়াতাড়ি আমাকে ছেড়ে গেছো: বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে সুবর্ণা

অনলাইন ডেস্ক
খুব তাড়াতাড়ি আমাকে ছেড়ে গেছো: বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে সুবর্ণা

দেশের খ্যাতিমান অভিনেতা ও বিশিষ্ট আবৃত্তিকার গোলাম মুস্তাফা। ১৯৬০ সালে ‘রাজধানীর বুকে’ সিনেমায় জমিদারের ভূমিকায় প্রথম অভিনয় করেন। তখন থেকেই তিনি খলনায়ক চরিত্রের একক ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এ ছাড়া তিনি অনেক ছবিতে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

গোলাম মুস্তাফা বাংলা ও ঊর্দু মিলে প্রায় তিন শ চলচ্চিত্রে নায়ক, সহনায়ক, খলনায়কসহ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

‘আলিবাবার চল্লিশ চোর’, ‘রাজধানীর বুকে’, ‘নিজেকে হারায়ে খুজি’, ‘রক্তাক্ত বাংলা’, ‘রূপালী সৈকতে’, ‘সীমানা পেরিয়ে’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘সূর্যসংগ্রাম’, ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’, ‘শুভদা’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘ধীরে বহে মেঘনা’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘দেবদাস’ তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।

১৯৬১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হারানো দিন’ সিনেমায় মদ্যপ জমিদারের ভূমিকায় তার অভিনয় সে সময় জনপ্রিয়তা পায়।

গোলাম মুস্তাফা ঢাকা টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকে নাটকে অভিনয় শুরু করেন। প্রথমদিকে ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি নাটকে নায়ক চরিত্রে ছিলেন।

১৯৫৮ সালে হোসনে আরাকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের মেয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা দেশের নামকরা অভিনয়শিল্পী ও বর্তমানে সাংসদ।

গোলাম মুস্তাফা ২০০৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। রোববার ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাবাকে নিয়ে অল্প বাক্যে কিছু অনুভূতির কথা জানিয়েছেন তিনি।

সুবর্ণা মুস্তফা তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘১৯ বছর… আমি তোমার সঙ্গে অনেক কিছু শেয়ার করতে চাই। তোমার সঙ্গে অনেক কিছু নিয়ে কথা বলার আছে আমার।

‘নতুন চলচ্চিত্র, নতুন বই, আমার পোষা প্রাণী, সংসদে আমার দিনগুলি, সৌদ, আমার বন্ধুরা, তোমাকে সবকিছু বলতে চাই। আমি প্রতি শীতে তোমার হলুদ জ্যাকেট পরি।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমি প্রতিদিন তোমাকে মিস করি। তুমি খুব তাড়াতাড়ি আমাকে ছেড়ে চলে গেছ। লাভ ইউ বাবা।’

গোলাম মুস্তাফা ১৯৮০ সালে এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী, ছুটির ফাঁদে (১৯৮৯) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেতা এবং ১৯৮৬ সালে শুভদা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০০১ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।