English Version
আপডেট : ১৬ আগস্ট, ২০২১ ০৯:২১

পরীমনি প্রসঙ্গে শাকিব খানের অভিযোগ নিয়ে যা বললেন জায়েদ খান

অনলাইন ডেস্ক
পরীমনি প্রসঙ্গে শাকিব খানের অভিযোগ নিয়ে যা বললেন জায়েদ খান

পরীমনির গ্রেপ্তার হবার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চললে নানা আলোচনা সমালোচনা। আবার গ্রেপ্তার পরবর্তি সময় তার পাশে দাড়ায়নি শিল্পী সমিতি। উল্টো তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। বিষয়টি নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করেছেন নায়ক শাকিব খান। শাকিব খানের সমালোচনা পর সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলছেন, বিষয়টি নিয়ে শিল্পী সমিতির আপাতত কোনো বক্তব্য নেই।

ঢাকার বনানীর বাসায় র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ৪ অগাস্ট পরীমনিকে গ্রেপ্তারের পর ৭ অগাস্ট বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) সংবাদ সম্মেলন করে তার সদস্যপদ স্থগিতের ঘোষণা দেয় শিল্পী সমিতি। তার এক সপ্তাহ পর চলচ্চিত্র শিল্পীদের স্বার্থ সংরক্ষণে গঠিত শিল্পী সমিতির এই ভূমিকাকে ‘বিতর্কিত’ আখ্যায়িত করে শনিবার সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনায় শামিল হন সাবেক সভাপতি শাকিব খান।

শাকিব খানের অভিযোগের বিষয়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, “ওটা সে দিতেই পারেন। সে একজন পার্শ্ব শিল্পী। তার অভিমত সে ব্যক্ত করেছে, করুক। এটা নিয়ে কিছু বলার নেই।”

শাকিব খান তার ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, “…শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে পরীমনি গ্রেপ্তারের পর তার প্রতি কোনো ধরনের সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে, দুঃসময়ে শিল্পীর পাশে না থেকে উল্টো তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। মুহূর্তে পরীমনির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে! এ যেন কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা!

“সমিতির এই আচরণ সত্যিই খুব রহস্যজনক। বিষয়টি নিয়ে বিবেকবান অনেক সিনিয়র-জুনিয়র শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের আক্ষেপ রয়েছে। শিল্পীর সাথে সংগঠনের এটি একটি অমানবিক আচরণ। প্রশ্ন থেকে যায়, এখনকার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি তাহলে কাদের স্বার্থে?”

শিল্পী সমিতির বিরুদ্ধে শাকিব খানের এমন অভিযোগের বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেবেন কি না?-এমন প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, “আমি আসলে পোস্টটি দেখিইনি। এখন কোনো বক্তব্য আমরা দেব না। ১৫ অগাস্টে আমাদের কার্যক্রম আছে। সেটা শেষ হলে দেখব, কী করা যায় ।”

“বিষয়টি নিয়ে তার (শাকিব খান) আরও আগেই বলা উচিত ছিল। ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা গেলে লাভটা কী,” মন্তব্য করেন জায়েদ।

পরীমনি ও একার সদস্যপদ স্থগিতের কারণ হিসেবে এর আগে সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, “তাদের কর্মকাণ্ডে শিল্পী সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় তাদের সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থাগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তীতে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রের ৬ এর খ এবং ৯ এর গ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো সদস্য সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে কোনো কাজে জড়িয়ে গেলে তার সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হবে।

সদস্যপদ স্থগিতের ঘোষণার আগে জায়েদ খান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, দুয়েকজন শিল্পীর জন্য যদি শিল্পী সমাজের সুনাম নষ্ট হয়, তাহলে সেটা তারা মেনে নেবেন না।

“শিল্পীরা সমাজের আইডল হবে; তারা কাজ করবে, সবাই দেখবে। তারাই যদি অপকর্মে জড়িয়ে যায়, তাহলে তার দায়ভার সেই শিল্পীরই।”