English Version
আপডেট : ৫ আগস্ট, ২০২১ ১০:৫৬

এবার নজরদারিতে নায়লা নাইম, জানা গেল যত অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
এবার নজরদারিতে নায়লা নাইম, জানা গেল যত অভিযোগ

দেশজুড়ে চলছে নানা রকম অসামাজিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকা বিনোদন জগতের জনপ্রিয় মডেল বা অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান। যে অভিযানে ইতিমধ্যে ধরা পড়েছে বহুল আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ আরও দুই মডেল পিয়াসা ও মৌ। পরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ব্ল্যাকমেইলিং, মাদক ব্যবসা ও পর্নোগ্রাফির। এদিকে জানা গেছে, পরী ছাড়াও ঢালিউডের অনেক মডেল-অভিনেত্রী পর্নো ব্যবসায় জড়িত। যেই তালিকায় নাম রয়েছেন কথিত আলোচিত মডেল নায়লা নাঈম, জনৈক শুভা, মানসি, পার্শা, মৌরি ও আঁচল। দেশের জাতীয় দৈনিক যুগান্তরের একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

এদিকে, পরীমণি ও নায়লা নাঈম ছাড়াও পর্নোচক্রে আরও নাম আছে জনৈক মৃদুলা ও অহনার। এছাড়া ক্যাসিনো সম্রাটের বান্ধবী হিসাবে পরিচিত চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা আছেন র‌্যাবের তালিকায়। র‌্যাব বলছে, পরীমনি ছাড়াও ঢাকার শোবিজ জগতের ডজনখানেক মডেল-অভিনেত্রী নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায় জড়িত। এদের মধ্যে আছেন-জনৈক শুভা, মানসি, পার্শা, মৌরি ও আঁচল। এছাড়া ক্যাসিনো সম্রাটের বান্ধবী হিসাবে পরিচিত চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা আছেন র‌্যাবের তালিকায়।

র‌্যাব আরও জানায়, পর্নোচক্রে নাম আছে জনৈক মৃদুলা, অহনা ও নায়লা নাঈম নামের কথিত মডেলের। এরা সবাই র‌্যাবের নজরদারিতে আছেন। গ্রেফতার হতে পারেন যে কোনো সময়। তবে শুধু নায়িকা বা মডেল নন। বেশ কয়েকজন চিত্রনায়ক মাদক এবং অবৈধ পর্নোগ্রাফি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে অন্যতম হাসান নামের জনৈক চিত্রনায়ক। তিনি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে সিনেমা জগতের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন থাকলেও বিলাসহুল জীবনযাপন করছেন। তার অবৈধ আয়ের মূল উৎস পর্নোগ্রাফি।

সূত্র জানায় জনৈক হাসান মাঝখানে কিছুদিন এমএলএম ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। বন্ধ হয়ে যাওয়া এমএলএম কোম্পানি ইউনিপে টু ইউর পরিচালক ছিলেন তিনি। এমএলএম ব্যবসায় তার পার্টনার ছিলেন রেদোওয়ান বিন ইসাহাক নামের এক পীরের ছেলে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে ইসহাক ও হাসান কিছুদিন গা ঢাকা দেন। পরে তারা যৌথভাবে সিনেমায় লগ্নি করেন। মদ্যপ অবস্থায় গভীর রাত পর্যন্ত এফডিসির ঝর্ণা স্পটে তাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম জাতীয় দৈনিকটিকে বলেন, পরীমনি ছাড়াও বেশ কয়েকজন মডেল-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ পর্নোগ্রাফির অভিযোগ পাওয়া গেছে।