English Version
আপডেট : ২৪ জুন, ২০২১ ১৪:০৭

আমরা ‘মাইনক্যা চিপায়’ পড়ে গেছি: নাসিরের আইনজীবী

অনলাইন ডেস্ক
আমরা ‘মাইনক্যা চিপায়’ পড়ে গেছি: নাসিরের আইনজীবী

নামারা জড়িত আছে। তাদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। আর আসামিরা এ অপরাধ থেকে মুক্তি পেলে সমাজে এ ধরনের অপরাধ আরও বেড়ে যাবে। সমাজকে এ ধরনের অপরাধ থেকে মুক্ত করতে তাদের বিচার হওয়া জরুরি। সেলিব্রেটি না হয়ে পরীমনি একজন সাধারণ নারী হিসেবে ন্যায়বিচার পাবে না। মামলার দিকে দেশ, জাতি তাকিয়ে আছে। তাকে যখন সেলিব্রেটি বলা হলো তখন হু, হা করার কি আছে। আশা করব, পুলিশ যে রিমান্ড আবেদন করেছে তা আদালত মঞ্জুর করবেন।’

অন্যদিকে নাসির উদ্দিন ও অমির পক্ষে ঢাকা বারের সভাপতি আব্দুল বাতেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মামুনসহ কয়েকজন রিমান্ড বাতিল চান। তিনি বলেন, ‘ সেলিব্রেটি হলেই আমাকে রাত ১২ টার পর ক্লাবে যেতে হবে? এরকম হলে তো আরও অনেক কিছুই হতে পারে। ধর্ষণ বা হত্যাচেষ্টার মামলা হলে তো ডিএনএ, ফরেনসিক টেস্ট করা দরকার। আসামিদের সিমটোম নিক তারা চেষ্টা করেছেন কি না। তা ছাড়া যারা আসামি তারা কি কম সেলিব্রেটি। পরীমনি সেলিব্রেটি ভালো কথা, উনার জায়গায় উনি থাকুক। আমরা (আসামিরা) মাইনক্যার চিপায় পড়ে গেছি। মিডিয়া ট্রায়াল। এর রেজাল্ট কি হবে আমরা জানি।’

মিজানুর রহমান বলেন, ‘কয়েকদিন আগে বনানীর একটি ক্লাবে গিয়ে ভাঙচুর করেছেন পরীমনি। সেলিব্রেটি হয়ে অন্যদের ভিকটিমাইজড করছেন পরীমনি। নাসির উদ্দিন এবং অমিও ভিকটিমাইজড।’ আবদুল বাতেন বলেন, ‘পরীমনি বাসা থেকে রওনা দিছেন স্বেচ্ছায়। ১২টার পর তো ক্লাব বন্ধ হয়ে যায়। আর নাসির কেন তাকে রেপ করতে যাবেন। এজাহারে অমির বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য নাই। কেন তাকে রিমান্ডে পাঠাবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাবানা, ববিতা, রোজিনাও নায়িকা ছিলেন। তাদের আমরা শ্রদ্ধা করি। তারা কোনো ক্লাবে যাননি। তিনি কেন রাত ১২টার পর ক্লাবে যাবেন। আসামিরা ভালো মানুষ। বিপদে পড়ে গেছেন। হয়রানি করতে মামলা দেওয়া হয়েছে। রিমান্ড বাতিল চেয়ে তাদের জামিন চাচ্ছি।’

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ১৫ জুন বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় নাসির উদ্দিন এবং অমির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।