English Version
আপডেট : ১৩ জুন, ২০২১ ১১:১৯

দীর্ঘদিনের বন্ধুকে বিয়ে করছেন প্রসূন আজাদ

অনলাইন ডেস্ক
দীর্ঘদিনের বন্ধুকে বিয়ে করছেন প্রসূন আজাদ

দীর্ঘদিনের বন্ধুকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টারখ্যাত জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ। শনিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় বাগদান সেরেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন প্রসূন নিজেই। হবু বর একজন ব্যবসায়ী। জানালেন দীর্ঘদিনের বন্ধু ফারহানকেই বিয়ে করতে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।

প্রসূন আজাদ বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমাদের অ্যাঙ্গেজমেন্ট হয়েছে। ফারহানের মা ও তার পরিবারের সদস্যরা এসে আমাকে আংটি পরিয়ে গেছেন। আল হামদুলিল্লাহ নতুন জীবনে পা রাখতে যাচ্ছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’ হবু বর সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রসূন বলেন, ‘আমার হবু বরের নাম ফারহান। ও কৃষি খামার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। পুরান ঢাকার ছেলে। ওর সম্পর্কে এর বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না।’

ফারহানের সঙ্গে প্রসূনের পরিচয় দীর্ঘদিনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কবে থেকে ফারহানের সঙ্গে আমার পরিচয় দিনক্ষণ ঠিক করে তা বলতে পারব না, তবে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই ভালো বন্ধু। ফারহান তার কাজের ফাঁকে মাঝে মধ্যে আমাকে সময় দেয়। ওর সঙ্গে সহজে মিশতে পারি। ও খুবই সাদামাটা সাধারণ একজন মানুষ। নিয়মিত নামাজ পড়েন। সব দিক থেকেই আমার মনে হয়েছে এই লোকটার সঙ্গে বাকি জীবন কাটিয়ে দেওয়া যেতে পারে।’

বাগদান সম্পন্ন হলেও বিয়ে কবে নাগাদ হবে জানতে চাইলে প্রসূন বলেন, ‘কেবল তো আংটি পরানো হলো। আমার বাবা পেশাগত কারণে ঢাকার বাইরে। তিনি এলেই আমার পরিবারের সদস্যরা ফারহানের বাসায় যাবে। দুই পরিবারের আলোচনার প্রেক্ষিতে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হবে। এ মাসের শেষ নাগাদ হয়তো বিয়ের দিনক্ষণ জানাতে পারব।’

প্রসূন সর্বশেষ একটি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেন। তার হাতে বেশ কিছু সিনেমাও রয়েছে। এর মধ্যে রাশিদ পলাশের পদ্মাপুরান, নুরুল আলম আতিকের মানুষের বাগান উল্লেখযোগ্য। ২০১২ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হওয়ার ভেতর দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু করেন প্রসূন আজাদ। তার ঝুলিতে রয়েছে অসংখ্য দর্শক নন্দিত নাটক ও টেলিফিল্ম। এসআই খানের ‘অচেনা হৃদয়’ দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। ২০১৪ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘সর্বনাশা ইয়াবা’ চলচ্চিত্র। টানা কাজ করলেও ২০১৬ সাল থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। নাটকে হয়ে পড়েন অনিয়মিত। এরমধ্যে সাম্প্রতিক বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

ছবিগুলো হলো নুরুল আলম আতিকের ‘মানুষের বাগান’, রাশিদ পলাশের ‘পদ্মপুরাণ’, জায়েদ রেজওয়ানের ‘মৃত্যুপুরী’ এবং নিশীথ সূর্যের ‘পায়রার চিঠি’।