English Version
আপডেট : ১৪ এপ্রিল, ২০২১ ১২:২০

বর্ষবরণে জয়ার ‘ভিন্ন আহ্বান’

অনলাইন ডেস্ক
বর্ষবরণে জয়ার ‘ভিন্ন আহ্বান’

করোনার কারণে বর্ষবরণের আয়োজন রং হারিয়েছে। সংকলিত আয়োজন ছায়ানটের । মঙ্গলশোভাযাত্রায় অংশ নেবেন একশজন। চিরচেনা ছন্দে বাইরে ঘোরার সুযোগ নেই লকডাউনে। তাই ঘরে বসে অনলাইনে বর্ষবরণ স্বাদ নিতে ভিন্ন পথের কথা বলেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। এবারের নববর্ষ ঘরে থেকে অগমেন্টেড ফরমেটে উদযাপন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

উৎসব উদযাপনে ‘সীমিত আক্ষেপ’ মেটানোর সুযোগ রয়েছে অগমেন্টেড রিয়ালিটিতে। অগমেন্টেড রিয়েলিটি হলো ভিডিওর একটি বিশেষ ফরমেট, যেখানে নিজের ইচ্ছে মতো গ্রাফিক্স, এনিমেশন বা ডিজাইন সেট করা যায়। বর্ষবরণে তাই মোবাইল ফোনে যে কেউ ইচ্ছেমতো সাজতে পারেন, ঘুরতে পারেন এধরণের এপস্ ব্যবহার করে। সে বিষয়টি তুলে ধরে জয়া আহসান এবারের নববর্ষ ঘরে থেকে অগমেন্টেড ফরমেটে উদযাপন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

অভিনেত্রী জয়া আহসান নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘কোভিডের দুঃসময় আমরা পার হইনি। চারদিকে বিষন্নতা আর মৃত্যু। কিন্তু দুঃসময়ই যে মানুষের শেষ কথা নয়, সে কথা জানাতেই তো বাংলা নববর্ষের আগমন। করোনার বিস্তারে গত বছরের নববর্ষে আমরা সংযত থেকেছি। প্রত্যাশা করেছি, পরের নববর্ষে দুর্যোগের গাঢ় মেঘ মাথার ওপর থেকে সরে যাবে। এবারে কোভিড আরও জোরেসোরে ফিরে এসেছে। কিন্তু কোভিডের কী সাধ্য পয়লা বৈশাখের প্রাণশক্তিকে চাপা দেয়!

‘মানুষকে পরাস্ত করা কি এতই সহজ! কত যুদ্ধ, মন্বন্তর, মারি পেছনে ফেলেই না এত দূর এগিয়ে এসেছে মানুষ। মানুষ মানে এগিয়ে যাওয়া। ঘোর অন্ধকার আসে, তাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে চলো, সবাই হাত ধরে—পয়লা বৈশাখ ঠিক এই কথাটিই সব সময় বলে এসেছে।’

জয়া বলেন, ‘আমরা সতর্ক আর নিরাপদ থাকব, নিজেদের সুস্থ রাখার জন্য সবকিছু করব, সবার জন্য দু হাত বাড়িয়ে রাখব, মনকে ভরে রাখব আলোয়। নববর্ষের কচি রোদ আমাদের সবার মুখের ওপরে।’

‘এই বছর প্রথমবারের মত বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ফেসবুক একটি বিশেষ অগমেন্টেড রিয়ালিটি ইফেক্ট তৈরি করেছে। মনে হচ্ছে যেন সবার সাথেই মঙ্গল শোভাযাত্রায় বেরিয়েছি। শখ করে আলপনা দিয়েছি গালে। করোনা থেকে বাঁচতে মুখে আবার মাস্কও আছে! দুঃসময় পেরিয়ে আমাদের এই পথ চলাতেই আনন্দ। শুভ নববর্ষ।’

নববর্ষের এআর ইফেক্ট নিজের মত করে ব্যবহার করতে তিনি কিছু লিংক শেয়ার করেছেন।