English Version
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি, ২০২০ ১৭:৩৭
সূত্র:

আসল জয়া কোনটা আমি বলতে পারব না: জয়া আহসান

আসল জয়া কোনটা আমি বলতে পারব না: জয়া আহসান

জয়া আহসানের নামের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যুক্ত হয়েছে সুপারস্টার তকমা। তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী এ অভিনেত্রী ‘রবিবার’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো জুটি গড়েছেন ভারতীয় তারকা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে। শিল্পী হিসেবে ইতিমধ্যেই ছবিটির জন্য সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ঢাকা ছেড়ে টলিউডে এসেও বিনিদ্র পরিশ্রম করে যাচ্ছেন জয়া আহসান। টলিউডের প্রায় সব খ্যাতিমান পরিচালকের সঙ্গেই কাজ করেছেন জয়া-এ তালিকায় কৌশিক গাঙ্গুলি, সৃজিত মুখার্জি, অরিন্দম শীল, অতনু ঘোষ, শিবপ্রসাদ মুখার্জি, নন্দিতা রায়, ইন্দ্রনীল চৌধুরী, বিরসা দাসগুপ্ত, সৌকর্য ঘোষালসহ অনেকেই রয়েছেন।

জয়া সব সময় সতর্কতার সঙ্গে এমন সিনেমা বেছে নেন যেগুলো অর্থবহ। তো তিনি কীভাবে প্রত্যেকটা সিনেমায় নিজেকে আলাদা করে উপস্থাপন করতে পারেন? ‘চিত্রনাট্য আমাকে অনেকটা সাহায্য করে, আর বহুদিনের চর্চার ফলে একটা দক্ষতা তো তৈরি হয়েছেই। কিন্তু একাগ্রতা আমাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। যেমন আমি সব সময় চেষ্টা করি আমার ফোনটা সঙ্গে না রাখার, কারণ ফোন কল সব সময় একটা মিষ্টি উপদ্রবও বটে। কোনো চরিত্র ধারণ করার সময় আমি পুরো আলাদা একটা জগতে বাস করি।’’ বললেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী।

তিনি একজন ‘কোনো নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে’ অভিনেত্রী হয়ে উঠেছেন কি না জানতে চাইলে এই সুন্দরী অভিনেত্রী ঝটপট জবাবে দিলেন, এটা সত্যি নয়। এটাকে আমি বলব, আমি নিজের ভাবনার প্রয়োগ ঘটিয়ে অভিনয়ে বিশ্বাস করি। চরিত্রের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসাটা সত্যিই কষ্টকর যদি সেটা হয় খুব গভীর আর আকর্ষণীয়। কাজের ভেতর দিয়েই নিজেকে প্রতিনিয়ত আবিস্কার করি, এ কারণে যদি জিজ্ঞেস করেন যে আসল জয়া কোনটা? আমি বলতে পারব না। প্রত্যেকটা চরিত্রের স্বকীয়তা আমাকে যেন পেয়ে বসে। এটা পুরোটাই নির্ভর করে চরিত্রের গুরুত্ব ও গভীরতার ওপর। আগে অনেক সময় লাগত। একটা চরিত্রের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসতে আমার মিনিমাম এক দুই মাস সময় লাগে।”

বাংলাদেশি এই অভিনেত্রী তার প্রযোজিত দ্বিতীয় সিনেমা ‘ফুরুত’ এর পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এরপর জয়া হাজির হবেন সৌকর্য রায়ের ভূত পরী ও অতনু ঘোষালের ‘বিনিসুতোয়’ ছবিতে।