English Version
আপডেট : ৭ মে, ২০১৬ ১৯:০৮

সন্তানহারা মা-বাবা লড়ছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
সন্তানহারা মা-বাবা লড়ছেন

একজন লন্ডনে। একজন মুম্বইয়ে। সন্তানের জন্য লড়ছেন দু’জনেই। অভিনেত্রী জিয়া খানের মা রাবিয়া আগেই জানিয়েছিলেন, প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি।   সেইমতো হোয়াট্‌সঅ্যাপে কথা হল রাবিয়া খান এবং প্রত্যুষার বাবা শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পরে দু’জনেই জানালেন, কী কথা হয়েছে তাঁদের।

রাবিয়া: আমি রাবিয়া। জিয়ার মা। আপনাদের সঙ্গে আগেই যোগাযোগ করতে চেয়েছিলাম। হয়ে ওঠেনি। আপনাদের কষ্টটা প্রতি মুহূর্তে বুঝতে পারছি।

শঙ্কর: জিয়ার মৃত্যুর পর সাংবাদিকেরা আমার মেয়ের প্রতিক্রিয়া চেয়েছিলেন। ভাবিনি যে একদিন আমার মেয়ের মৃত্যু নিয়েই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

রাবিয়া: ভেঙে পড়বেন না। আপনাদের লড়তে হবে। আপনাদের লড়াইয়ে যদি আমাকে কোনওভাবে প্রয়োজন হয়, জানাবেন। সব সময় আপনাদের পাশে আছি।

শঙ্কর: ধন্যবাদ ম্যাডাম। আপনার সঙ্গে কথা বলতে পেরে ভাল লাগছে। কী ভাবে যে দিনগুলো কাটছে! সারাদিন পুলিশ আর কোর্ট!

রাবিয়া: বুঝতে পারছি। আমাকেও একই রকম ছোটাছুটি করতে হয়েছে। এখনও করছি। প্রত্যুষার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেয়েছেন?

শঙ্কর: পেয়েছি। লেখা আছে, দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু।

রাবিয়া: দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু মানেই কি আত্মহত্যা? জিয়ার রিপোর্টেও তাই লেখা ছিল। আপনারা কি পোস্টমর্টেমের ছবিগুলো পেয়েছেন?

শঙ্কর: না, ওগুলো তো দেয়নি।

রাবিয়া: ওগুলো চাইতে হবে। নিজেদের কাছে রাখবেন। বাকি রিপোর্ট? হিস্টোপ্যাথলজির রিপোর্ট পেয়েছেন?

শঙ্কর: পেয়েছি। তবে অরিজিনালগুলো তো পুলিশের কাছে। আমাদের একটা কপি দিয়েছে।

রাবিয়া: হাসপাতালকে বলুন অরিজিনাল কপি দিতে। কারও মুখের কথায় বিশ্বাস করবেন না। নাহলে পরে সকলে সব কথা অস্বীকার করবে। আপনার কাছে কোনও প্রমাণই থাকবে না।

শঙ্কর: রিপোর্টে বলছে, প্রত্যুষার শরীরে অতিরিক্ত অ্যালকোহল পাওয়া গিয়েছে। অ্যালকোহলের প্রভাবেই নাকি ও গলায় ফাঁস দিয়েছিল...আমরা এসব কথা বিশ্বাস করি না।

রাবিয়া: অ্যালকোহল তো কী! অ্যালকোহলের বশে মানুষ জলে ডুবে যেতে পারে। হাতের শিরা কাটতে পারে। অ্যালকোহলের বশে কেউ টুলে উঠে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে  ওড়না ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস দিতে পারে না।

শঙ্কর: ওই ফ্ল্যাটে কোনও টুলই ছিল না। এমন কিছু ছিল না যাতে উঠে সিলিং ফ্যানে হাত দেওয়া যায়। তাহলে কী করে এটা সম্ভব!

রাবিয়া: সেইজন্যই বলছি, প্রমাণ জোগাড় করুন। কোর্ট অর্ডার করিয়ে প্রত্যেকটা রিপোর্টের অরিজিনাল বার করে নিজেদের কাছে রাখুন। যখন যা অসুবিধে হবে, আমাকে বলবেন। আমি বলে দেব, কার কাছে গেলে সাহায্য পাবেন।

শঙ্কর: কোর্টই তো বলছে, পুলিশ নাকি ঠিক তদন্ত করছে। কিন্তু আমরা জানি, পুলিশ ছেলেটাকে (রাহুল রাজ সিংহ) আড়াল করছে। আমরা সিবিআই চাই।

রাবিয়া: এই লড়াইটাই এখন আমার কাজ। আমি চাকরি পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছি। বাবা-মা হিসেবে আমরা অনেক কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে পারি। হাল ছেড়ে দিলে চলবে না।

শঙ্কর: আমি এবং আমার স্ত্রী আবার আপনার সঙ্গে কথা বলব।

রাবিয়া: নিশ্চয়ই। যখন ইচ্ছে, ফোন করবেন। খবর- এবেলা