English Version
আপডেট : ১ মে, ২০১৬ ১৫:৪০

মডেল মুনের বাড়ীতে পুলিশের অভিযান

অনলাইন ডেস্ক
মডেল মুনের বাড়ীতে পুলিশের অভিযান
বিলাসবহুল গাড়ী ব্যবহারে অভিযুক্ত মডেল ডা. জাকিয়া মুন

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ী ব্যবহারে অভিযুক্ত মডেল ডা. জাকিয়া মুন ও তার স্বামী ব্যবসায়ী শফিউল আজম মহসিনকে ধরতে তাদের বাসায় অভিযান চালিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। তবে অভিযানের খবর পেয়ে আগেই পালিয়ে যান দুজন। ৬ এপ্রিল মুনের বাসা থেকে কার্নেট সুবিধার অপব্যবহার করা প্রায় ৫ কোটি মূল্যের একটি পোরশে জিপ জব্দ করা হয়। গাড়িটি মডেল মুন ব্যবহার করতেন।

শনিবার পৃথকভাবে দু’জনের বাসায় এ অভিযান চালানো হয়। তবে দু’জনই অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যান। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জোবায়দা খানমের নেতৃত্বে একটি টিম মুনের বাসায় অভিযান চালান।

মুন এলিফ্যান্ট রোডের এআরসি টাওয়ারের ২/এ, ৭৪ নম্বর অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করেন। মুনের মা জহুরা বেগম জানান, গাড়ি জব্দের পর থেকে মুন পলাতক। পরে শুল্ক গোয়েন্দা টিম মুনের স্বামী ব্যবসায়ী মহসিনকে ধরতে গুলশান-১ এর ৩৩ নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাড়ির বি-৫ অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালান।

ড. মইনুল খান আরও জানান, গাড়ির মালিকানা বিষয় বক্তব্যে জানতে এর আগে দু’বার মুন ও মহসিনকে সমন জারি করা হয়। হাজির না হওয়ায় গত ১৯ এপ্রিল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ফেরদৌসী মাহবুবকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

মুনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও গত ২৪ এপ্রিল বিকাল তিনটায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে চূড়ান্ত একটি নোটিশও জারি করা হয়।

কাস্টমস গোয়েন্দা সূত্র জানা গেছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও নারায়ণগঞ্জ থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মতিন এমপি কোটায় ওই গাড়িটি আমদানি করেছিলেন। ২০০৬ সালের ১৬ই আগস্ট গাড়িটি বাংলাদেশে আনা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ৪ বছর ব্যবহারের পর এসব গাড়ি অন্য কারও মালিকানায় বিক্রি করা যায়।

কিন্তু আবদুল মতিন কেনার ৩ মাসের মাথায় ২০০৭ সালের ২১শে জানুয়ারি গাড়িটি প্রেস্টিজ মোটরসের কাছে ৮০ লাখ টাকায় বেচে দেন। পরে ২০০৯ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি এটি এবিকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছে ৯২ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। গাড়িটিতে প্রায় ৫ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়েছে বলে জানান কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।