English Version
আপডেট : ১০ এপ্রিল, ২০১৬ ০৯:১৪

দশ বছরে ডিজে ওয়াহিদ

শরীফ খান
দশ বছরে ডিজে ওয়াহিদ

দুই কানে লাগানো হেডফোনে বাজছে গানের সুর। চোখের তারা খেলা করছে হাতের সামনে রাখা ডিজে প্লেয়ার। আঙুলের নিয়ন্ত্রণে চলছে বহুমাত্রিক শব্দের খেলা। বলছি প্রিয় ডিস্ক জকির (ডিজে) কথা। এই পেশায় দশ বছরে পা দিয়েছেন মো. আবু ওয়াহিদ। সফল এই মানুষটিকে সকলে ডিজে ওয়াহিদ গ্যারেজ নামেই চিনেন। সবার নিকট ডিজের সংজ্ঞা একই রকম হলেও ওয়াহিদের নিকট এটি ভিন্ন। তিনি বলেন, ডিজে মানে শুধু ক্লাবে নাচ-গানা নয়। টেকনোলজি নির্ভর কাজ এটি। পেশা হিসেবে এটি বিশ্বজুড়ে অনেক ভালো একটা অবস্থায় রয়েছে। যে কোনো আগ্রহী তরুণ-তরুণী এখন পেশা হিসেবে ডিজেকে নিতে পারবে। আমাদের ডিজে স্কুল গ্যারেজে অনেক ছেলে-মেয়ে শিখতে আসে। তাদের আমরা আর্ন্তজাতিক মানের শিক্ষা দেয়। এর পাশাপাশি একটা উপদেশ দেয়। সেটা হচ্ছে ডিজে হিসেবে কেউ যেন মাদক গ্রহণ না করে। ডিজে ওয়াহিদের হাতেখড়ি ডিজে রাহাতের নিকট। তিনি বলেন, রাহাত ভাইয়ের সাথে কাজ শুরু করি ২০০৬ সালে। গ্যারেজের ফাউন্ডার হিসেবে প্রথম থেকেই আছি, আগামীতেও থাকব।

গত বছর আইসিসি টি টুয়েন্টি ওয়াল্ড কাপে আইসিসির অফিসিয়াল ডিজে হিসেবে পুরো আনুষ্ঠানটি পরিচালনা করার সুযোগ হয়। এরপর সিংগাপুর, মালোয়েশিয়া, ব্যাংককসহ বেশকিছু জায়গায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি বাজিয়েছেন। ঢাকা কলেজে অর্থনীতিতে পড়াশুনা শেষ করেছেন। তার পছন্দের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ডিজে টিয়েস্তোর নাম। এবারের পহেলা বৈশাখে পাবনা সরকারী অ্যাডওয়ার্ড কলেজে বড় একটি শোতে তিনি একাই বাজাবেন। ক্রিকেট স্টেডিয়াম, পারিবারিক পার্টিসহ আর্ন্তজাতিক মানের অনুষ্ঠানেও দেখা গেছে ওয়াহিদকে। সবশেষে তিনি বলেন, অবসরে স্পোর্টস কার চালাতে ভালো লাগে আমার। আর যারা এ পেশায় আসতে চান তাদেরকে সততা নিয়ে আসতে হবে। আর আমাদের ডিজে স্কুল গ্যারেজের বর্তমানে দুটি শাখা। বনানী ও ধানমন্ডি শাখায় যোগাযোগ করে ভর্তি হতে ইচ্ছুকরা এই পেশায় কাজ শিখতে পারেন। তবে পরিবারের সহযোগিতার পাশাপাশি এ পেশায় সাফল্যের জন্য চর্চাটা থাকা খুব বেশি জরুরী ।