English Version
আপডেট : ৮ মার্চ, ২০১৬ ১৬:১৫

আমি বরিশাইল্যা: শ্রাবন্তী

অনলাইন ডেস্ক
আমি বরিশাইল্যা: শ্রাবন্তী

আমি বরিশাইল্যা মেয়ে। কথাটি কোনো সিনেমার ডায়লগ নয় এটা সুস্পষ্ট ভাষায় জানালেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। তিনি জানান, ‘আমার দাদু ও বাবার বাড়ি বরিশালে। আমি বরিশালের মেয়ে। সে হিসেবে আমি বাংলাদেশেরই মেয়ে’।

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় ‘শিকারী’ ছবিতে অভিনয় করতে ঢাকায় এসেছেন ২৮ বছর বয়সী এই তারকা। সোমবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান শ্রাবন্তী। এরপর তিনি রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে উঠেন। সেখানে দুপুরের খাবার খেতে গিয়ে কাঁচা মরিচ দাঁত দিয়ে কামড়ে গিলেছেন। এমন দৃর্শ হয়তো কখনো কল্পনাও করেননি জাজ মাল্টিমিডিয়ার স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল আজিজ। তিনি রীতিমত ‘থ’ বনে গেছেন। তাই শ্রবন্তীকে প্রশ্ন না করে পারলেন না ‘শিকারী’র অন্যতম প্রযোজক। আজিজ তাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপু, তুমি এভাবে কাঁচা মরিচ খেতে পারো?’ উত্তরে শ্রাবন্তী গর্ব নিয়ে বলেন, ‘আমি বরিশাইল্যা।’   এদিন রাতে একই পাঁচতারা হোটেলে ছবিটির মহরতে অংশ নেন শ্রাবন্তী। এখানে তিনি জানান, বাংলাদেশে বেশ কয়েকবার আসি আসি করেও তার আসা হয়নি। গত ২৭ ফেব্রুয়ারিও আসার কথা ছিলো, কিন্তু ভিসা সংক্রান্ত কারণে তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে পূর্বপুরুষদের দেশে আসতে পেরে তিনি ভীষণ খুশি।    শ্রাবন্তী কথায় কথায় বললেন, ‘বাংলাদেশে খুব ভালো লাগছে। এখানকার মানুষজন খুব ভালো। ভীষণ অতিথিপরায়ণ সবাই। বাংলাদেশেই বাঙালিয়ানাকে পরিপূর্ণভাবে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদ নেওয়ার খুব ইচ্ছা আমার।’   যৌথ প্রযোজনার ছবিতে কাজ করার সম্মতি জানানোর পেছনে বাংলাদেশে পিতৃভিটা অন্যতম কারণ বলে জানালেন শ্রাবন্তী। দ্বিতীয়ত জাজ মাল্টিমিডিয়ার পাশাপাশি ‘শিকারী’র আরেক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে মুভিজের সঙ্গে সুসম্পর্কও মুখ্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।

১৯৯৭ সালে স্বপন সাহার পরিচালনায় ‘মায়ার বাঁধন’ ছবির মাধ্যমে রূপালি পর্দায় অভিষেক হয় শ্রাবন্তীর। তখন তার বয়স মাত্র ১০ বছর। এরপর ছয় বছরের বিরতি। ২০০৩ সালে জিতের সঙ্গে ‘চ্যাম্পিয়ন’-এ অভিনয় করেন তিনি। এরপর আবার পাঁচ বছরের বিরতি। ২০০৮ সাল থেকে নিয়মিত চলচ্চিত্রে কাজ করছেন শ্রাবন্তী। তার অভিনীত ছবির তালিকায় উল্লেখযোগ্য- ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ (২০০৮), ‘দুজনে’ (২০০৯), ‘অমানুষ’ (২০১০), ‘জোশ’ (২০১০), ‘সেদিন দেখা হয়েছিলো’ (২০১০), ‘ফাইটার’ (২০১১), ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে’ (২০১১), ‘ইডিয়ট’ (২০১২), ‘দিওয়ানা’ (২০১৩), ‘কানামাছি’ (২০১৩), ‘মজনু’ (২০১৩), ‘বিন্দাস’ (২০১৪)। ২০১৩ সালে অপর্ণা সেনের আলোচিত ছবি ‘গয়নার বাক্স’তে দেখা গেছে শ্রাবন্তীকে।