English Version
আপডেট : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৬:২২

স্বামীই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড: সানি লিওনের এক্সক্লুসিভ সাক্ষাতকার

অনলাইন ডেস্ক
স্বামীই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড: সানি লিওনের এক্সক্লুসিভ সাক্ষাতকার

 

তার পর্নোস্টার ইমেজের বাইরেও লুকিয়ে আছে অন্য এক সানি লিওন। তার সাথে কথা বলতে গেলে সেই ভিন্ন মানুষটি বেরিয়ে আসে। তিনি ‘স্টার’, নাকি স্টার নন, সেটা নিয়েও শুরু হতে পারে তুমুল বিতর্ক। সানি লিওন নিজেই কি বিতর্কের অপর নাম? নাকি, যাবতীয় বিবাদের উর্ধ্বে একজন সানি লিওন রয়েছেন, যেখানে আশা-নিরাশা দোল খায় স্বাভাবিক নিয়মে, সফলতা আর নিস্ফলতা হাত ধরাধরি করে চলে? নিজের কথা বলতে গিয়ে কোথাও কি বেধে থাকে শব্দ? সাক্ষাৎকার তার কাছে নতুন কিছু নয়। এবার তিনি কলকাতার অনলাইন পত্রিকা এবেলা.ইন এর সাংবাদিক অয়নজিৎ সেনের কাছে খুলে দিয়েছেন তার মনের জানালা।

** অভিনেতা এবং স্টারএই দুই অভিধার মধ্যে একটা ভিত্তিগত পার্থক্য রয়েছে, সেটা আপনি কি মনে করেন? আপনি তো স্টার... সানি: আমি নিজেকে মোটেও ‘স্টার’ হিসেবে দেখি না। আমি কেবলমাত্র একজন অভিনেতা এবং এন্টারটেনার। ‘স্টার’ কাকে বলে...? সালমান খান, আমির খান, এস আর কে... উনারা স্টার!!

** আপনার কি মনে হয়, হিন্দি ছবিতে আপনার ইমেজ একটা বিশেষ ধাঁচে আটকে থাকছে, একটা বিশেষ ধরনের চরিত্রেই কাস্ট করা হচ্ছে আপনাকে? যদি তা হচ্ছে বলে মনে হয়, ঠিক কী কারণে এমনটা হচ্ছে তা যদি জানান... সানি: আমি কী বলব এই ব্যাপারে! এটার উত্তর দিতে পারবেন দর্শকরা। যদি দর্শকরা আমাকে একটা বিশেষ চরিত্রে দেখেতে চান, সে ক্ষেত্রে আমার কিছু করার নেই।  

**  ভারতীয় দর্শকরা আপনাকে কীভাবে দেখছেন বলে আপনার মনে হয়? আপনার আবেগ-অনুভূতির জগৎটাকে কি তারা স্পর্শ করতে পারছেন, আপনার শিল্পীসত্তা আর বিনোদনের মধ্যেকার আদান-প্রদানকে তাঁরা কতটা বুঝতে পারছেন? সানি: আমার মনে হয়, তারা এটা ছুঁতে পারছেন। তবে, সাধারণভাবে সেলিব্রিটিদের ব্যাপারে চিন্তা করার সময়ে তারা তাদের অনুভবের জগৎটাকে কতটা ভাবেন, সেটা বলা দুরূহ...কিন্তু, আমিও রক্তমাংসের মানুষ, আমারও আবেগ আর অনুভূতি রয়েছে...  

** সানি লিওনের একটা ব্যস্ত কাজের দিন কেমন? একটু বলুন... সানি: আমার নিজের কাজের যে জায়গাটা আমার দারুণ পছন্দের, সেটা হল এই কাজের বৈচিত্র্য। এখানে প্রতিটা দিন, অন্যটার চাইতে এক্কেবারে আলাদা। প্রতিদিনের ওয়ার্ক-ফ্লো সবসময়েই নতুন। একই সঙ্গে কতগুলো কাজই যে করি! তবে, কাজ ব্যাপারটাকে আমি সবসময়েই এনজয় করি। তবে প্রতিদিন যেটা করেই থাকি, সেটা ঘুম থেকে উঠে স্বামীর সঙ্গে কফি আর ব্রেকফাস্ট আর তার পরে ওয়ার্ক-আউট।

** এই মুহূর্তে আপনি এদেশের অন্যতম প্রধান সেলিব্রিটি। আপনার কি মনে হয় আপনি ক্যাটরিনা কাইফ, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, কঙ্গনা রানাউতের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে আপনি একই প‌ংক্তিতে রয়েছেন, অথবা তাদের অতিক্রম করে যাচ্ছেন। সানি: একেবারেই না। যাদের নাম আপনি করলেন, তারা প্রত্যেকেই স্বমহিমায় ভাস্বর। প্রত্যেকেই দুর্দান্ত অভিনেতা।

** এ দেশে কাজ করতে গিয়ে আপনি কি আপনার ক্যারিয়ার বহুমুখী করতে আগ্রহী? সানি: কাজ করতে আমি ভালবাসি। আর প্রথাগত গতানুগতিক কাজে আমার একাবারেই আগ্রহ নেই। অভিনেতার জীবনের উদ্দেশ্যই হল সবসময়ে বহুমুখীনতার দরজাটাকে খুলে রাখা। নিজেকে ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে উপস্থাপন করতে হলে হাতে একসঙ্গে অনেক রকমের কাজকে রাখা দরকার। সেটা খুবই জরুরি।

**মস্তিজাদেবা অন্যান্য আসন্ন প্রজেক্টগুলির কিছু বিশেষ মুহূর্ত যদি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেন... সানি: ‘মস্তিজাদে’-র শ্যুটিংয়ের প্রতিটা দিনই ছিল আপনার কথামতো ‘বিশেষ’। শ্যুটিং করেছি যাকে বলে চুটিয়ে, তার সঙ্গে চূড়ান্ত আড্ডা সারাদিন। আমার পরের ছবিটার নাম ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’, তার পরের ছবি ‘বেইমান লাভ’। এখন এগুলোর দিকেই তাকিয়ে...

** আত্মজীবনী লেখার কথা ভেবেছেন কখনও? সানি: নাঃ। সে সময় বোধহয় এখনও আসেনি (হাসি)।

** ভারতে কাজ করার ব্যাপারে আপনার স্বামী ঠিক কতটা সহযোগিতা করেছেন? সানি: সানি লিওন বলতে মানুষ আজ যা বোঝেন, তা তার সমর্থন ছাড়া সম্ভবই ছিল না। প্রফেশনাল এবং ব্যাক্তিগত— দুই জগতেই তিনি সব সময়ে আমকে সাপোর্ট করছেন, করে চলেছেন। তিনিই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যার উপরে আমার সবটুকু আগ্রহ আর আতিশয্য ভর করে রয়েছে। ইউএসএ-তে আমি আর কাউকে চিনতাম না, যিনি আমার জন্য এমন একটা ঝোড়ো সফরে সঙ্গ দিতে রাজি হবেন। একদিন দেখলাম যাত্রাটা শুরু হয়ে গেল, তেমন টের পাইনি তখন। তার পরে দেখলাম এই আশ্চর্য জার্নিতে তিনি আমার পাশেই রয়েছেন।  

** অভিনয়ে না এলে সানি লিওন কী করতেন? সানি: ধারণা নেই। (হাসি)... হয়তো কোনও বিজনেস ভেঞ্চার।

**  তেমন কোনও অভিনেতা রয়েছেন কি, যার সঙ্গে আপনি কাজ করতে মরিয়া? সানি: তালিকাটা বলি (রহস্যময় হাসি), আমির খান, সালমআন খান আর অবশ্যই শাহরুখ খান।