English Version
আপডেট : ১২ জানুয়ারি, ২০১৬ ২১:১৯

যৌথ প্রযোজনার মাধ্যমে দুই বাংলার ছবির বাজার বেড়েছে : রিয়া সেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
যৌথ প্রযোজনার মাধ্যমে দুই বাংলার ছবির বাজার বেড়েছে : রিয়া সেন

‘বাংলাদেশের প্রতি আমার একটা দুর্বলতা রয়েছে। আমার দিদিমা (সুচিত্রা সেন) বাংলাদেশের পাবনা জেলার মেয়ে। দিদিমার নামে ওখানে একটি মিউজিয়াম বানানো হচ্ছে। আমি বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে গিয়েছি। আবার বাংলাদেশ যেতে চাই’, সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘হিরো ৪২০’ নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে এভাবেই বলেছেন অভিনেত্রী রিয়া সেন। তিনি আরো বলেন, ‘যৌথ প্রযোজনার মাধ্যমে দুই বাংলার ছবির বাজার বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের বাজার ব্যবহার করা হচ্ছে। যৌথ প্রযোজনার সিদ্ধান্তটা দারুণ। আফটার অল, দিনের শেষে আমাদের সবার মনে রাখা উচিত, আমরা বাঙালি।’

দুই বাংলার প্রযোজনায় ‘হিরো ৪২০’ ছবিতে ধনী পরিবারের বিগড়ে যাওয়া মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিয়া। ‘দারুণ একটা মজার চরিত্র’, নিজের চরিত্রের কথা এভাবেই বলেন তিনি।

অভিনয়জগতে আসার প্রথমেই রিয়া ঠিক করেই ফেলেছিলেন, বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনি। আজ বলিউডে ‘ঝঙ্কার বিটস’, ‘কয়ামত’ থেকে বাংলায় ‘নৌকাডুবি’, ‘কলকাতা কলিং’ কিংবা ‘জাতিস্মর’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সৌন্দর্য ও আবেদনের পাশাপাশি পারেন যে কোনো চরিত্রে সাবলীল অভিনয় করে যেতে।

নির্দিষ্ট কোনো চরিত্রের ইমেজে বাঁধা থাকতে চান না রিয়া। আজ অভিনয় করতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তেই দিদিমা সুচিত্রা সেনকে তিনি মিস করেন বলে জানালেন। বললেন, ‘সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতি মুহূর্তেই দিদিমাকে (সুচিত্রা সেন) মিস করি। সুচিত্রা সেন আজ সাধারণ মানুষের কাছে লিজেন্ড হলেও তিনি আমাদের কাছে ছিলেন শুধুই দিদিমা। ভীষণ ভালোবাসতেন। আজও যেন তাঁর সেই ভালোবাসাটা রয়ে গেছে।’

নিজের অভিনয় দক্ষতাকে বিভিন্ন ছবির জগতে ছড়িয়ে দিতে চান রিয়া। জানিয়ে দিলেন, ‘শুধু হিন্দিবলয় নয়, ভারতের তামিল, তেলেগু, মালয়ালাম ছবিতে আগে কাজ করেছি। ভালো চিত্রনাট্য পেলে আরো কাজ করতে চাই।’

বরাবরই নাকি বেশ খামখেয়ালি স্বভাবের মেয়ে রিয়া! অবশ্য একথা নিজেই স্বীকার করে নিয়ে জানিয়ে দিলেন, ‘আমি তো প্রায়ই আমার বিভিন্ন আই কার্ড (প্যান কার্ড, আধার কার্ড) হারিয়ে ফেলি।’

জীবনে চলার পথে বিতর্ক নিয়ে মোটেই মাথা ঘামাতে চান না রিয়া। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আসতে চান কি না-সেই প্রসঙ্গে রিয়ার সাফ উত্তর, ‘রাজনীতি বিষয়টা সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত রাজনীতিতে আসা অর্থহীন। রাজনীতিতে অনেক মানুষকে কথা দিতে হয়। আর ভোটের সময় দেওয়া কথা পূরণ করতে না পারলে কেন রাজনীতিতে যোগ দেব?’ তবে রিয়ার মা মুনমুন সেন এখন পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ হিসেবে যা কিছু করেছেন, সেই কর্মকাণ্ডকে রিয়া একবাক্যে সম্মান জানাতে চান।