English Version
আপডেট : ১১ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৩:৩৫

সুরের মুর্ছনায় ৭২ টি ছবি আঁকলেন শিল্পী কালিদাস কর্মকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
সুরের মুর্ছনায় ৭২ টি ছবি আঁকলেন শিল্পী কালিদাস কর্মকার
ছবি ফেসবুক থেকে সংগ্রীহিত

বাহাত্তরে পা রাখলেন চিত্রশিল্পী কালিদাস কর্মকার। এ উপলক্ষে রোববার সন্ধ্যায় দেশী বাদ্যযন্ত্রের সুর সহযোগে খোলা মঞ্চে দর্শকদের সামনে বিশাল ক্যানভাসে ৭২ টি ছবি আঁকলেন শিল্পী। সুরের মুর্ছনায় আর অঙ্কনের বৈচিত্র্যতায় কালিদাস একটু একটু করে উন্মোচিত হতে থাকেন চেনা-অচেনা মানুষের কাছে।

কালিদাসের জন্মদিনে পাললিক ছন্দ নামে যুগলবন্দি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় জাদুঘর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের ও মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক।

সভাপতিত্ব করেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রদীপ জ্বালিয়ে আয়োজনের উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ।

যাপিত জীবনের কথা বলতে গিয়ে কালিদাস কর্মকার উচ্চারণ করেন, শিল্প তখনই সমৃদ্ধ হয় যখন তা অন্য মাধ্যমগুলোর সঙ্গে একসঙ্গে মিলিত হয়ে নতুন কিছু সৃষ্টি করে। সে কারণেই গানের সুরে তবলার বোলের সংযোগে এই প্রয়াস।

জন্মদিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের পরিবারে ঘটা করে জন্মদিন পালনের রেওয়াজ নেই। তারপরও কেউ উদযাপন করলে ভালো লাগে।

রামেন্দু মজুমদার বলেন, কালিদাস সবসময় চমক দিতে পছন্দ করেন। নানা মাধ্যমে কাজ করেন এই শিল্পী। ছবি আঁকার পাশাপাশি অন্য কাজও করেন। তার ছবিও বৈচিত্র্যময়।

আবুল খায়ের বলেন, মেধাবি, উদ্যোমী শিল্পী কালিদাস। অসাধারণ ছবি আঁকেন। ক্যানভাসে এক ধরনের রহস্যময়তা সৃষ্টি করেন। এখনও ক্রমাগত তিনি নতুনভাবে কাজ করতে চান। সবসময় নতুন কাজে উন্নতি ও পরিবর্তন লক্ষ্য করি আমরা।

রুবানা হক বলেন, শিল্পী কালিদাস কর্মকার মানুষের যাত্রাকে গুরুত্ব দেন না। বরং প্রত্যাবর্তনকে গুরুত্ব দেন। শিল্পীর সব প্রদর্শনীর সঙ্গে পাললিক শব্দটি জড়িয়ে থাকে। পলিমাটির এই দেশ তার চিন্তায় মিশে থাকে সবসময় তারই প্রকাশ এই শব্দের মধ্য দিয়ে।

ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, তিনি এমন এক শিল্পী যিনি চিত্রকলার সব ধরনের টেকনিক রপ্ত করতে চান এবং তা ক্যানভাসে ব্যবহার করতে চান। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিকমানের একজন শিল্পী তিনি।