English Version
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১১:০৫

থার্টি ফার্স্ট নাইটে দেখুন বেয়ার গ্রিলস আর বারাক ওবামার অ্যাডভেঞ্চার

অনলাইন ডেস্ক
থার্টি ফার্স্ট নাইটে দেখুন বেয়ার গ্রিলস আর বারাক ওবামার অ্যাডভেঞ্চার

বিষয়টি এখন আর কারও অজানা নয় যে সারভাইবাল এক্সপার্ট বেয়ার গ্রিলসের সাথে বনে জঙ্গলে সারভাইবাল চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন মহাশক্তিধর দেশ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা । ডিসকভারি চ্যানেলের টিভি শো 'ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড' -এ  দুঃসাহসী ও পাগলাটে কর্মকাণ্ডের জন্য সকল বয়সী মানুষের কাছে বেয়ার এখন তুমুল জনপ্রিয়। সভ্যতার বাইরে প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিবেশে কিভাবে বেঁচে থাকতে হয় সেটাই তিনি তুলে ধরেন তার নিত্যনতুন কৌশল আর দুঃসাহসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে।

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও যে তার ভক্ত হয়ে গেছেন সেটা নিশ্চই অনুমান করতে পারেননি বেয়ার। তাই যখন হোয়াইট হাউস থেকে ফোন পান তখন বিশ্বাস করতে পারেননি। ভেবেছিলেন কেউ দুষ্টুমি করছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ওবামা যখন নিজে তার সাথে কথা বলেন তখন তিনি আকাশ থেকে পড়েন! কয়েকমাস আগেই কড়া নিরাপত্তায় শুটিং হয় ‘রানিং ওয়াইল্ড’ নামক প্রোগ্রামটির। আজ থার্টি ফার্স্ট নাইটে স্পেশাল এই শো দেখা যাবে ডিসকভারি চ্যানেলে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে দশটায়।

বেয়ার গ্রিলস বিছে, পোকামাকড়, বহু দিনের মৃত পশুর মাংস, রক্ত, মল, কাঁচা মাছ এমনকি প্রাণ বাঁচাতে নিজের প্রস্রাব পান সহ খাওয়ার যোগ্য অযোগ্য যেকোনো কিছুই অবলীলায় খেয়ে ফেলতে পারেন। নিত্যনতুন কৌশলে পাহাড় নদী জঙ্গল পার হয়ে তিনি ঠিকই পৌছে যান সভ্য জগতে। গত কিছুদিন ধরে ডিসকভারি চ্যানেল বেয়ার গ্রিলস-এর সঙ্গে বারাক ওবামার অ্যাডভেঞ্চারের আলোচিত শো ‘রানিং ওয়াইল্ড’ অনুষ্ঠানটির প্রোমো দেখাচ্ছে। তাতে দেখা যায় বেয়ার এবং ওবামা ভালুকের ফেলে যাওয়া আধাখাওয়া একটি মাছ আহার করছেন। এই পর্বে আদিম প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই চালিয়ে সভ্যতায় পৌঁছানোর চ্যালেঞ্জে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সঙ্গী করেই বেয়ার পাড়ি দিয়েছেন আলাস্কার প্রত্যন্ত অঞ্চলে। পরিবেশ দূষণের ফলে কী ভাবে পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে, তারই প্রচারে এই বেয়ারের সঙ্গে সারভাইবাল চ্যালেঞ্জে সঙ্গী হয়েছেন ওবামা। শুটিংয়ের পরপরই বেয়ার বলেছিলেন ওবামার সাথে তিনটি দিন খুব উপভোগ্য ছিল।

যুক্তরাজ্যের নাগরিক বেয়ার গ্রিলসের পুরো নাম এডওয়ার্ড মাইকেল গ্রিলস। জন্ম জুন ৭, ১৯৭৪। পিতা কনজারভেটিভ পার্টির প্রয়াত রাজনীতিবিদ স্যার মাইকেল গ্রিলস। পরিবারে স্ত্রী সারা এবং তিন সন্তান। তিনি পড়াশোনা শেষ করে দুনিয়া জয়ের নেশায় ভারতীয় সেনাবাহিনী, যুক্তরাজ্যের স্পেশাল ফোর্স এবং স্পেশাল এয়ারফোর্সে চাকরি করেন। মানবসেবায় অবদান রাখার জন্যে ২০০৪ সালে গ্রিলসকে সম্মানসূচক পদ লেফটেন্যান্ট কমান্ডারে পদোন্নতি দেওয়া হয়। ১৯৯৮ সালের ১৬ মে মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি সর্বকনিষ্ট এভারেস্টজয়ীর গৌরব অর্জন করেন।