প্রেম করা নিয়ে জাহাঙ্গীরনগরে ২ কিশোর গ্যাংয়ের মারধর, মহড়া

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দুই কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে মারধর ও মহড়া দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৬ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় ক্যাম্পাসের পাশ্ববর্তী ইসলামনগরের কিশোর গ্যাং ও রাঙামাটি এলাকার ‘রাইডারবিডি ০০৭’ গ্যাংয়ের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
জানা যায়, ‘রাইডারবিডি ০০৭’ গ্যাংয়ের সদস্য রুদ্রের সঙ্গে জাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন আগে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়। পরে ওই ছাত্রী ইসলামনগর গ্যাংয়ের সদস্য রাতুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রুদ্র কয়েকবার রাতুলকে হুমকি দেয়। রবিবার এ ঘটনার জের ধরে রাতুল ও রুদ্রের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাতুল ও তার গ্যাংয়ের সদস্যরা রুদ্রকে মারধর করে। পরে দুই গ্যাংয়ের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় ‘রাইডারবিডি ০০৭’ গ্যাংয়ের সদস্যদের চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়। তবে বড় ধরনের সংঘর্ষের আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার সদস্যরা তাদের সরিয়ে দেয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী এলাকায় দেখা যায়।
সম্পর্কিত খবরজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপ-উপাচার্য মনজুরুল হকজাবির আবাসিক হল গেটে ফের তালামসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জাবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলাবিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রাঙামাটি এলাকার ‘রাইডারবিডি ০০৭’ নামের গ্যাংটি পরিচালনা করে জাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তারিকুল ইসলাম তারেক এবং ইসলামনগরের গ্যাংটি পরিচালনা করে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী হাসান রিমু। এই গ্যাংটি ‘রিমু গ্যাং’ নামে বেশি পরিচিত।
এ বিষয়ে রিমু বলেন, ‘সংঘর্ষের কোনো ঘটনা ঘটেনি। একটা মেয়েকে নিয়ে রুদ্র আর রাতুলের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। সেই ঘটনার জেরে আজ (রবিবার) তাদের দু’জনের মধ্যে মারামারি হয়। পরে আমরা গিয়ে তাদের শান্ত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) জেফরুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘ওই এলাকায় অনেক কিশোর জড়ো হয়েছিল। আমরা গিয়ে তাদের সরিয়ে দিই।’
এ বিষয়ে জাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল জলিল ভূঞা বলেন, ‘কিশোরদের ঝামেলার বিষয়টি শুনেছিলাম। পরে অন্য শিক্ষকদের খোঁজ নিতে পাঠানো হয়েছিল। তবে শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে দেখতে পায়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা সম্পর্কে আমরা এখনো জানতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটালে অবশ্যই প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’