রেজাউল হত্যা আসামি শরিফুল-হাসানকে ধরিয়ে দিলেই পুরস্কার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের জড়িত দুই জেএমবি’র সক্রিয় সদস্যকে ধরিয়ে দিতে লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) জাতীয় দুটি দৈনিক ইত্তেফাক ও জনগণ্ঠ পত্রিকায় ছবিসহ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আরএমপি এই পুরস্কার ঘোষণা করে।
দুই আসামির মধ্যে একজন রাবির ইংরেজি বিভাগেরই তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদ (২৫)। শরিফুল রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে। তিনি প্রায় একবছর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। শরিফুলের পরিবার গত ৪ জুলাই বাগমারা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে।
অপর পলাতক আসামি নজরুল ওরফে হাসান (২৬) পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনারহার গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়া ওরফে মুন্নার ছেলে।
তবে পুলিশ বলছে, নজরুল জেএমবির সক্রি সদস্য এবং শিক্ষক ও পঞ্চগড়ে পুরোহিত হত্যাকাণ্ডে সে সরাসরি যুক্ত ছিল।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম বলেন, পলাতক শরিফুল ও নজরুল দুজনই জেএমবির সক্রিয় সদস্য। অধ্যাপক সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়ে প্রমাণ মিলেছে।
এ মামলায় গ্রেফতার এক জেএমবি সদস্য রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি জানান।
পরে ওই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।
সেখানেও তিনি শরিফুল ও নজরুলের জড়িত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রেজাউস সাদিক বলেন, শরিফুল ও নজরুল অধ্যাপক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তাদের গ্রেফতারে অনেক অভিযান চালানো হয়। তবে তাদের কোনো হদিস মেলেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। আর এ বিষয়ে তথ্যদাতার নাম-ঠিকানা গোপন রাখা হবে। গত ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহী মহানগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসার একটু দূরে অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গ্রেফতার হওয়ার পর হাফিজুর নামে এক শিবির নেতা অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।