English Version
আপডেট : ১ জুলাই, ২০১৬ ১৪:৫৬

সুলতান মহাবিদ্যালয়ের ভবনের অংশ রাস্তার ওপরে, বিরুপ প্রতিক্রিয়া এলাকাবাসীর

অনলাইন ডেস্ক
সুলতান মহাবিদ্যালয়ের ভবনের অংশ রাস্তার ওপরে, বিরুপ প্রতিক্রিয়া এলাকাবাসীর

 নড়াইলে শিল্পী সুলতান চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের ভবনের কিছু অংশ রাস্তার ওপর চলে আসায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যে।

সুলতানের হাতে গড়া সাংস্কৃতিক সংগঠন লালবাউল সম্প্রদায় ও স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের অভিযোগ, চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের  জন্য ভবন নির্মান আনন্দের বিষয়। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে রাস্তার ওপর কেন ?

জানা গেছে,  নড়াইল-ঢাকা সড়কে শহরের পশ্চিম মাছিমদিয়ায় শিল্পী সুলতান ১ একর ৩ শতক জায়গা কিনেছিলেন এবং শিশুদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফুল ও ফলের গাছ, বসার জায়গা, পুকুর,প্রবেশের রাস্তা এবং লালবাউল সম্প্রদায় নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। শিল্পী সুলতান বেঁচে থাকা অবস্থায় প্রতি শুক্রবার এখানে অবৈতনিকভাবে শিশুদের ছবি আঁকা,নৃত্য ও সঙ্গীত শেখানো এবং শিুশুদের চকলেট, বিস্কুুট বা খাদ্য বিতরণ করা হতো। সেই ধারাটি এখনও বজায় রয়েছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মহাবিদ্যালয়ের জন্য নির্মানাধীন দু’টি ভবনের একটি ভবনের কিছু অংশ রাস্তার ওপর চলে এসেছে।

২০০৯ সালের ১০ আগষ্ট এস এম সুলতান বেঙ্গল চারুকলা মহাবিদ্যালটি প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রতিষ্ঠানের ভবন না থাকায় অস্থায়ীভাবে নড়াইল শহরের কুরিগ্রামে সুলতান কমপ্লেক্সে সুলতান শিশুস্বর্গ-১ এর দুইটা কক্ষে চলছে আর্ট কলেজের কার্যক্রম। একটি কক্ষে অফিস ও শিক্ষক মিলনায়তন এবং অপর কক্ষে পর্যায়ক্রমে চলে বিভিন্ন বর্ষের পাঠদান। এখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৫ বছর মেয়াদী বি,এফ,এ-এর প্রি-ডিগ্রি ও বি,এফ,এ কোর্স চালু রয়েছে। কলেজের ২২জন শিক্ষক-কর্মচারী এখনও এমপিওভূক্ত হয়নি।

শিল্পী সুলতানের শিষ্য ও লালবাউল সম্প্রদায়ের সাদারন সম্পাদক সরোয়ার ফকির বলেন, জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করে পূর্বের রাস্তা ঠিক রেখে ভবন নির্মানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। প্রশাসন যদি এ দাবি না মানে তাহলে সুলতান ভক্তরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলবে তিনি মন্তব্য করেন।

নড়াইল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মলয় কুন্ডু বলেন, তিনটি প্রতিষ্ঠানই শিল্পী সুলতানের নামে। কিন্তু শিশুস্বর্গ-২ ও লালবাউলে যেতে পূর্বের রাস্তা ঠিক রেখে মহাবিদ্যালয়ের ভবনটি নির্মান করা উচি।

এস এম সুলতান বেঙ্গল চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ প্রফেসর অশোক কুমার শীল জানান, মহাবিদ্যালয়ের জন্য বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, শিশুস্বর্গ-২ ও লালবাউলের লাগোয়া পার্শ্বে ৬২ শতক জমি ক্রয় করেছে। এখানে নির্মানাধীন একটি  ভবনের কিছু অংশ পূর্বের রাস্তার ওপর উঠে গেলেও বিকল্প রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া আর্ট কলেজ, শিশুস্বর্গ-২ ও লালবাউল যেহেতু একটি ব্যক্তির নামে সেহেতু এটা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।

জেলা প্রশাসক মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ বলেন, পৌরসভার নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মান করা হচ্ছে। লালবাউল ও শিশুস্বর্গ-২ এ যাওয়ার জন্য ২৪ ফুট রাস্তা রাখা হয়েছে।  উন্নয়ন করতে হলে পেছনে তাকালে হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। কেউ এ ব্যাপারে মিস গাইড করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।