শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি রোধে সম্মেলন

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের (পাজেপ) প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের একাংশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড মো. হারুন।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালের খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যস্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর জন্য ১১২ জন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও আইনী জটিলতায় নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে আছে।
চলতি বছরের গত ২৯জুন লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুযায়ী ৩০% কোটা পাওয়ার কথা থাকলেও ফলাফল বিবরণীতে মাত্র ১৫% কোটা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া পার্বত্য জেলা পরিষদ খাগড়াছড়ি চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর খেয়াল খুশিমত খাদ্যশষ্য লুটরাজ করছে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে। যদি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সরকার ঘোষিত ৩০% কোটার ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের নিয়োগ দেয়া না হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
খাগড়াছড়ি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সভাপতি রইছ উদ্দিন জানান, আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে যদি শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল পুর্ন:বিবেচনা করা না হয় তাহলে ১০ জুলাই থেকে লাগাতার হরতাল কর্মসূচীসহ পার্বত্য জেলা পরিষদ অফিস ঘেরাও কর্মসূচী পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহালছড়ি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সভাপতি একেএম হুমায়ুন কবির, মোঃ মোন্তাফা প্রমুখ।
এবিষয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী মুঠোফোনে জানান, মুক্তিযোদ্ধা কোটার যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এ ধাপে ৭৭ জনের মধ্যে ২৩জনকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় রাখা হয়েছে। লিখিত পরীায় ৮০ নম্বরের মধ্যে যারা ২৭ নম্বর পেয়েছে তাদের উর্ত্তীণ করানো হয়েছে। ১১২জন বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি কুচক্রী মহল।
উল্লেখ্য, গতবছরের ডিসেম্বর মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বার্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ তুলে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সভাপতি রইছ উদ্দিনের বিরুদ্ধে আমরণ অনশন কর্মসূচী পালন করেন সুবিধা বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধারা। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বিষয়টি দেখবে আশ্বাস দিলে অনশনকারীরা অনশন ভঙ্গ করেন। তখন রইছ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎ, হাউজিংয়ে বরাদ্দ নিয়ে অনিয়ম ও প্রাথমিক শিকের চাকুরী পাইয়ে দেয়ার নাম করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কাজ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ তুলে আন্দোলনকারী।