রামেকের সাত ছাত্রকে ক্যম্পাস থেকে বহিষ্কার

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ছাত্রলীগের ৭ ক্যাডারকে দুই টার্মের জন্য বহিস্কার করেছে। গতকাল ডিসিপ্লিমিনারি কমিটির সিদ্ধান্তে ওই ছাত্রদের ক্যম্পাস থেকে বহিস্কার করা হয়।
তারা বহিস্কারাদেশ চলাকালে তারা লেখাপড়া করতে পারবে। তবে ক্যম্পাসে অবস্থান করতে পারবে না। ১৪ এপ্রিল দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পিংকু হোস্টেল থেকে পুলিশ তাদের আটক করে। পরদিন সকালে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান ছাত্রলীগ ক্যাডারদের আটকের বিষয়টি স্বীকার করেন। একটি কাটা বন্দুক, একটি এয়ারগান ও কিছু দেশীয় অস্ত্রসহ ওইসব ছাত্রলীগ নেতাদের আটক করেছিল পুলিশ। রাজপাড়া থানা পুলিশ রামেকের পিংকু হোস্টেলের ০০৭ নম্বরের আরমান-সালমানের কক্ষটিতে অভিযান চালায়। অভিযানে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় একটি কাটা বন্দুক, একটি এয়ারগান ও বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র। এ সময় ওই কক্ষ থেকে আরমান ও সালমানসহ আটক করা হয়G ছাত্রলীগের আরো অন্তত ৫ নেতাকর্মীকে।
আটককৃত অন্যরা হলেন-রামেক ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পল্লব হোসেন, ছাত্রলীগ কর্মী ও বিডিএফ ২৬তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাব্বি, এমবিবিএস ৫৬তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অনিক হোসেন, একই বর্ষের মুশফিক হোসেন ও এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ছাত্র নাহিদ হোসেন।
সারারাত তারা রাজপাড়া থানা হাজতেই কাটান। তবে পরদিন সকালে রামেক অধ্যক্ষের হস্তক্ষেপে থানা থেকে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ডিসিপ্লিনারি কমিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বলেন। তাদেও বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়। একাডেমিক কাউন্সিল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির প্রস্তাব করে।