মির্জাপুরে ৭৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ৫৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৪ টি দাখিল মাদ্রাসাসহ ৭৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকেই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীরা ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়ে যায়। উপজেলা মাধমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, এর আগে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশে পরীক্ষা মূলকভাবে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কাউন্সিল (নির্বাচন)হয়েছে।
এ বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশে দেশের প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় এ স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মির্জাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাকির হোসেন মোল্লা জানান,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও নিজ নিজ পরিবারে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা এবং নিজের মতমতকে প্রকাশ করার জন্য বর্তমান সরকার স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছেন।এ নির্বাচন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক সারা জাগিয়েছে।
এ দিকে বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলো ঘুরে দেখা গেছে,প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ৭টি মন্ত্রনালয় (পদের) বিপরীতে ছাত্র-ছাত্রীরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। মন্ত্রনালয়(পদগুলো) হচ্ছে পরিবেশ সংরক্ষক মন্ত্রনালয়, পুস্তক এবং শিখন সামগ্রী মন্ত্রনালয়,স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়, পনি সম্পদ মন্ত্রনালয়, বৃক্ষ রোপন ও বাগান পরিচর্চা মন্ত্রনালয় এবং অভ্যর্থনা মন্ত্রনালয়।নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং শান্তিপ্রিয় ভাবে গ্রহনের লক্ষে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ সদস্য বিশিষ্ঠ নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা,প্রিজাইটিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইটিং অফিসার নিয়োগ,পুলিং এজেন্ট নিয়োগ,ব্যালট পেপার তৈরী, ব্যালট বক্্র বসানো,নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োগসহ নির্বাচনের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মির্জাপুর এস কে পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রার্থ সরকার জানিয়েছে, জীবনের প্রথম এত বড় একটি নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি।আমাদের বিদ্যাদ্যালয়ে ১৮৩৬ জন ছাত্র-ছাত্রী নিজেদের ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের ৭ জন নেতা নির্বাচন করেছে।এটা গণতন্ত্রের জন্য একটি মাইল ফলক বলে সে দাবী করে।বিদ্যালয়ের পধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম খান এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক মি. প্রফুল্ল কুমার সরকার জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চার যে সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে সে জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়, শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেওয়া উচৎ।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম আহমেদ বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ ও এলাকাবাসির সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসায় অত্যান্ত সুন্দর, সুশৃংখল, শান্তিপ্রিয় এবং নিরপেক্ষ ভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে।