হাফিজুর হত্যা:প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ভিসি কার্যালয় ঘেরাও

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ছাত্রলীগের নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরনকারী প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজুর মোল্লার হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবীতে এবং হলগুলোতে ছাত্রলীগের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের প্রতিবাদে উপাচার্যের (ভিসি) কার্যালয় ঘেরাও করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাম্রজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য।
ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্টসহ কিছু বামপন্থী ছাত্র সংগঠন দ্বারা গঠিত এই ছাত্রজোট বুধবার দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচী পালন করে । এর আগে দুপুরে মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি কলা ভবন দিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে হয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এসে শেষ হয়। সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে তারা উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করেন।
দুপুর ১টা দিকে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাম্রজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। দুপুর ১টা ১৪ মিনিটের দিকে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক কার্যালয় থেকে বের হতে চাইলে তাদের বাধার মুখে পড়েন। এ সময় তিনি আন্দোলনরতদের সরে যেতে বললে তারা স্লোগান দিতে থাকেন এবং হাফিজুর হত্যার জন্য ভিসিকে দায়ী করে পদত্যাগের দাবি জানান। পরে ভিসি ফের নিজ কার্যালয়ে ফিরে যান। ২টার পর আন্দোলনকারীরা সরে গেলে তিনি মুক্ত হন।
কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি লাকী আক্তার বলেন, আমরা হাফিজুর হত্যার তদন্ত কমিটি গঠন ও রিপোর্ট প্রকাশ এবং দোষীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্ধারিত সময় বেধে দিয়েছি, সেই আল্টিমেটাম শেষ হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। হাফিজুরের মৃত্যুর জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের গেস্টরুমের নির্যাতনের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। তাকে প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে রাতে ৩ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল।
ছাত্রনেতা এমএ পারভেজ লেলিন বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলছে এর জন্য দায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারছি যে, হলগুলো পরিচালনার জন্য প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটর নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু এরা শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর রাখে না বরং ঘুমায়।
এদিকে, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনের একচ্ছত্র আধিপত্যের অবসান ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে আগামী ৩মার্চ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট।