English Version
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৩:১২

অনশনরত শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়েই পরীক্ষা গ্রহণ!

নিজস্ব প্রতিবেদক
অনশনরত শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়েই পরীক্ষা গ্রহণ!

 

ক্লাসে উপস্থিতি কোটা পূরণ না হওয়ায় বিভাগের ৫১ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৭৫ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হয়। বিশেষ কারণে তা সম্ভব না হলে জরিমানা সাপেক্ষে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে সে ক্ষেত্রেও ৬০ শতাংশ উপস্থিতি থাকতে হবে।পরীক্ষায় দেওয়ার সুযোগের দাবিতে গতকাল রোববার বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা বিভাগের সামনে ‘অনশন’ করছেন। কিন্তু তাদের বাদ দিয়েই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা আজ সোমবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে শুরু হয়েছে।

বিভাগের শিক্ষকেরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনেই আমরা চলছি। ক্লাসে উপস্থিত না থাকার কারণেই তারা ডিসকলিজিয়েট (ফরম পূরণের জন্য অযোগ্য) হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এর আগে শূন্য শতাংশ উপস্থিতি থাকলেও পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়েছে, তবে নতুন সভাপতি এসে কোনো রকম পূর্বঘোষণা ছাড়াই ক্লাসে ৬০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছেন। ফলে এ রকম হয়েছে।

আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ বলেন, যদি তারা আমি আসার পর থেকেই পুরোপুরি ক্লাস করত তাহলে ডিসকলিজিয়েটের কোনো সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু তাঁদের বারবার ক্লাসে উপস্থিত থাকার তাগিদ দেওয়া হলেও তারা তা উপেক্ষা করে। তিনি আরও বলেন, ৬০ থেকে কমিয়ে ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত যাঁদের উপস্থিতি ছিল তাঁদেরও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তাও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসরণ করে। আর একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্তের বাইরে আমি যেতে পারব না।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ ও পরীক্ষার সময় পরিবর্তনের দাবিতে রোববার বেলা ১১টা থেকে বিভাগের সামনে ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচি শুরু করেন ওই শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী যাদের ৬০ শতাংশের নিচে ক্লাসে উপস্থিতি আছে তাঁরাও এ কর্মসূচিতে যোগ দেন। দ্বিতীয় বর্ষের আগামী ১৫ মার্চ চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ। 

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় আইন বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, যোগ্য পরীক্ষার্থীরা হলে গিয়ে বসেছেন। আর অনশনরত অর্ধশত শিক্ষার্থী বিভাগের কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় শুয়ে আছেন। তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের অনুরোধ জানান। তাদের কারণে বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আসা যাওয়া করতে পারছেন না। ফলে পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহ করা হয় হলের পেছনে জানালা দিয়ে।  সকাল ১০টার দিকে অনশনকারীদের মধ্যে প্রথম বর্ষের দুজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা হলেন-আফিফা বিনতে আক্তার ও সুমাইয়া খন্দকার।