English Version
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬ ১২:৩৪

আজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন
ফাইল ছবি

 

দীর্ঘ আট বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। রবিবার দুপুর আড়াইটায় চবি কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এ সমাবর্তনে অংশ নিচ্ছেন ৭১৯৪ জন গ্র্যাজুয়েট। এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে চ্যান্সেলর পদক পাচ্ছেন ৯জন শিক্ষার্থী। এ ছাড়া ২৫ জন পিএইচডি ও ১৩ জন গবেষককে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হবে।

চবিতে এ পর্যন্ত তিন বার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বপ্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে। দ্বিতীয় সমাবর্তনটি হয় ১৯৯৯ সালে। সর্বশেষ সমাবর্তনটি হয় ২০০৮ সালের নভেম্বরে। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। সমাবর্তনের সময়সূচি অনুযায়ী, দুপুর ২টা নাগাদ সমাবর্তনস্থলে শোভাযাত্রা সহকারে উপস্থিত হবেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ। দুপুর ২টা ৩৮ মিনিটে সমাবর্তনের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন রাষ্ট্রপতি।

এরপরই স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। ২টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ গ্র্যাজুয়েটদের সনদ প্রদান করবেন। ৩টা ১৭ মিনিটে আচার্যের ভাষণের পর সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে। এদিকে সমাবর্তন অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আইপিও ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। ২৮ জানুয়ারি বিকেল থেকে সমাবর্তন মঞ্চের আশপাশে জনসাধারণের চলাচলে আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ।

সমাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট, সোহরোওয়ার্দী মোড়সহ বিভিন্ন মোড়ে বসানো হয়েছে আলোর ফোয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের মাঝে বিশাল জায়গাজুড়ে তৈরি হয়েছে সুসজ্জিত প্যান্ডেল। মাঠের পশ্চিম পাশে তৈরি করা হয়েছে হেলিপ্যাড। হেলিকপ্টার থেকে নেমে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ সরাসরি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী সকলকে দুপুর ১টার মধ্যে মূল অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

এদিকে গত শুক্রবার থেকেই সমাবর্তনের গাউন গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে সরবরাহ করা হয়েছে। আজ রবিবার ক্যাম্পাসে ৭২টি বুথ বসানো হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা এসব বুথ থেকেও গাউন সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে এবারের সমাবর্তনে গাউনের সঙ্গে একটি সার্টিফিকেট ব্যাগ, একটি সুভেনিয়র ও একটি কোট পিন দেওয়া হবে যা আগের সমাবর্তনগুলোতে দেওয়া হতো না। গ্র্যাজুয়েটরা গাউন ফেরত দিয়ে সার্টিফিকেট নেওয়ার সময় এগুলো সংশ্লিষ্ট বুথ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।