রাবি’র চার শিক্ষককে মুঠোফোনে হুমকি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চার শিক্ষককে একই নম্বর থেকে চাঁদা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
সোমবার ও মঙ্গলবার মুঠোফোনের এই ০১৬৩০২৯৮১৬৫৭ নম্বর থেকে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে শিক্ষকদের এ হুমকি দেওয়া হয়।
হুমকি পাওয়া শিক্ষকরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক বিধান চন্দ্র দাস, এনিমেল হাসবেন্ড্রী এন্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এসএম কামরুজ্জামান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম এবং একই বিভাগের অধ্যাপক আজিজুল হক।
অধ্যাপক বিধান চন্দ্র দাসকে মঙ্গলবার দুপুরে মুঠোফোনে ফোন করে টাকা চাওয়া হয়। হুমকি পাওয়ার কিছুক্ষণ পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ২১ মার্চ একইভাবে একটি বাংলালিংক মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মেজর জিয়ার পরিচয়ে এই অধ্যাপকের কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়। ওই সময় তিনি মতিহার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে একই ফোন নম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল হাসবেন্ড্রী এন্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এসএম কামরুজ্জামানকে হুমকি দেওয়া হয়।
এর আগে সোমবার রাতে সর্বহারা দলের পরিচয় দিয়ে একই মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ্ মখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম এবং একই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আজিজুল হককে ফোন হুমকি দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, ‘শিক্ষকদের হুমকি দেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে মঙ্গলবার আমাদের কাছে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একজন অধ্যাপক লিখিত ও এনিমেল হাসবেন্ড্রী এন্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগের একজন সহযোগী অধ্যাপক মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছেন। একইভাবে সোমবার শাহ মখদুম হলের প্রাধ্যক্ষকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। আমরা বিষয়গুলো নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বসে কীভাবে সমাধান করা যায় তা দেখবো।’
এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) অশোক চৌহান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের কাছে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’