English Version
আপডেট : ৬ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৬:৩৭

‘উচ্চ শিক্ষা কমিশন’ এ রূপান্তরিত হচ্ছে ইউজিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
‘উচ্চ শিক্ষা কমিশন’ এ রূপান্তরিত হচ্ছে ইউজিসি

উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্মকান্ড মনিটরিং করার জন্য সরকার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে (ইউজিসি) -কে ‘উচ্চশিক্ষা কমিশন’(এইচইসি) -তে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) উদ্যোগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ’প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই পরিকল্পনার কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে উচ্চশিক্ষা কমিশনে রূপান্তরের খসড়া প্রায় চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। উচ্চশিক্ষাকে যুগোপাযোগী এবং আন্তর্জাতিক মানে তুলে আনতে উচ্চশিক্ষা এক্রিডেশন কাউন্সিল গঠনের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম এছাড়া, স্বর্নপদক বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ছাত্রী অথৈ নিলিমা এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মামুন-অর-রশিদ বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে স্বর্ণপদকজয়ী শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতের কর্মজীবনে দেশের সাধারণ জনগণের কথা বিবেচনা করে সততা, নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। স্বর্ণপদকজয়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গরিব জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তোমরা যে লেখাপড়া করছো, তার বিনিময়ে কি দিচ্ছো তোমাদের সর্বদা তা মনে রাখতে হবে। তিনি সাহিত্য ও বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ তৈরি করার উপর জোর দেন। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০১১-১২ সালে শীর্ষস্থান অর্জনকারী বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগের ১৬৬ জন শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেতে স্বর্ণপদক এবং সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন। স্বর্ণপদক বিজয়ীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নারী সদস্য থাকায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী শিক্ষক সমাজকে জ্ঞান বিতরণে আরো আন্তরিক হবার আহবান জানিয়ে বলেন, সম্মানিত শিক্ষকরা সমাজের বিবেক। তাই শিক্ষকদের সকল প্রকার প্রভাব ও সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে, দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে জ্ঞানের নতুন-নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবেন-সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।