English Version
আপডেট : ৫ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৫:৫১

রিকশা চালিয়ে বিসিএস ক্যাডার

অনলাইন ডেস্ক
রিকশা চালিয়ে বিসিএস ক্যাডার

খুলনার ফুলতলা উপজেলার দরিদ্র পরিবারের সন্তান সোহেল। স্নাতকোত্তর পাস করে ঢাকায় আসেন ভালো কিছু করার আশায়। নতুন পরিবেশে সবকিছুই নতুন। কিন্তু ভালো কিছু করতে হবে এই দৃঢ় প্রত্যয়ে তিনি অবিচল থাকেন, ঢাকায় এসে মনোনিবেশ করেন লেখাপড়ায়। দিনের অধিকাংশ সময়ে পাবলিক লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করতেন আর খরচ চালানোর জন্য রাতে একটি কোচিং এ ক্লাস নিতেন। কিন্তু কোচিংয়ের চাকরি বেশীদিন করতে পারেননি সোহেল। মেসের ভাড়া কিংবা খাওয়ার টাকা ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারতেন না। এজন্য লাঞ্ছনার শেষ ছিল না। এক সময় বাধ্য হয়ে নিজের খরচ ও পরিবারের খরচ মেটানোর জন্য রাতের শহরে রিকশার প্যাডেলে পা রাখেন তিনি। কিন্তু দায়িত্বের নিচে চাপা দিতে পারেননি নিজের স্বপ্ন কে। তাই রিকশা চালিয়ে পড়াশোনা করে ৩৪ তম বিসিএস পরিক্ষার প্রকাশিত নন-ক্যাডারের তালিকায় তার নাম এসেছে।

সোহেল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেননি। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে খুলনার একটি কলেজ থেকে ইংরেজীতে স্নাতকোত্তর পাস করেন। খুলনায় থাকাকালীন দিনে চারটি টিউশনি করতেন। আর এই টিউশনির টাকা দিয়ে নিজে চলতেন আর কিছু টাকা বৃদ্ধ বাবাকে দিতেন।

নন-ক্যাডার তালিকায় নিজের নাম নিয়ে সন্তুষ্ট নন তিনি। এখন তার লক্ষ্য ৩৫ তম বিসিএস। সোহেল জানান, কষ্টের ফল তিনি পেয়েছেন। ৩৫ তম বিসিএসে তিনি শিক্ষা-ক্যাডার হতে পারবেন এমনটাই প্রত্যাশা সোহেলের।