সরকারি চাকরির পরীক্ষায় ভালো করতে হলে

চাকরি আমাদের দেশে এখন সোনার হরিণ আর সেটা যদি সরকারী চাকরি হয় তবে তো কথাই নেই। সরকারী চাকরির সাথে তো আরও মূল্যবান বস্তুর তুলনা করা যায়। একটা সরকারী চাকরি পেলে নিশ্চিন্তে জীবন পার করা যায়। কিন্তু বিষয়টা তো এত সহজ নয়। তাই ঝুড়ি ঝুড়ি সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিয়ে ফিরতে হয় খালি হাতে।অনেকে টাকা খরচ করে কোচিং-টোচিং করছেন কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। কখনও ভেবে দেখেছেন আপনার মধ্যেকার গলতিগুলো? নিচের পয়েন্টগুলি মিলিয়ে দেখুন তো কখনও অজান্তে কিংবা ভুলবশত: কাজগুলো করেছেন কিনা?
জানার জন্য পড়ুন: সরকারী চাকরির প্রস্তুতি হিসেবে আপনাকে অবশ্যই পড়তে হবে। যখনই পরতে যান না কেন পড়াটাকে উপভোগ করুন। কখনও পরীক্ষার কথা ভাবতে ভাবতে পড়বেন না। কারন এতে লাভের চাইতে আপনার মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। জাস্ট ভেবে নিন যে আপনি একটা বই পড়ছেন যেখান থেকে কিছু জানতে পারবেন আপনি।
ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষা দিন: পরীক্ষার আগের দিন খুব ভাল করে ঘুমান। ঘুমালে আপনার শরীর-মন সুস্থ থাকবে। একদম সারারাত জেগে থাকবেন না। দরকার হলে প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুন। দেখবেন মন স্থির হয়ে যাবে। মন স্থির থাকলে নি:সন্দেহে পরীক্ষা ভাল হবে আপনার।
প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষার সাথে তুলনা করবেন না: সরকারী চাকরির পরীক্ষাকে আপনার প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না। কারণ চাকরির ক্ষেত্রে পরীক্ষার চাইতেও বড় বিষয় হল প্রতিযোগিতা। এখানে শুধু আপনাকে পাশ করলে চলবে না।প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে। তাই খুব বেশি চাপ নেবেন না। মাথা ঠান্ডা রেখে পরীক্ষা দিন।
পরীক্ষাটি উপভোগ করুন: পরীক্ষাটিকে খুব বেশি সিরিয়াসলি না নিয়ে উপভোগ করুন। সরকারী চাকরির পরীক্ষা খুবই কঠিন ঠিক আছে, কিন্তু ভাবুন না, যে আপনি স্রেফ উপভোগ করার জন্য এই পরীক্ষাটি দিচ্ছেন। যখন পড়বেন তখনও উপভোগ করে পড়ুন। পরীক্ষায় পাশ করার জন্য পড়লে মাথা বিগড়ে যাবে আপনার।
সাক্ষাতকারে অফিসিয়াল পোশাক পড়ে যাবেন: লিখিত পরীক্ষায় পাশ করে গেছেন? তবে তো সাক্ষাতকারের ডাক পাবেন। সে দিন অবশ্যই ফরমাল পোশাক পড়ে যাবেন। ছেলেরা ফুল শার্ট ও প্যান্ট এবং মেয়েরা সালোয়ার-কামিজ অথবা শাড়ি পড়তে পারেন। তবে অবশ্যই পোশাকের রং এবং ডিজাইনের কথা মাথায় রাখবেন। বেশী জবরজং ডিজাইনের পোশাক পড়বেন না। একরঙা জামা পড়লে ভাল।
ধৈর্য্য হারাবেন না: সাক্ষাতকারের সময় ধৈর্য্য হারাবেন না। ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনাকে জেল-ফাঁসি দেবে না। ধৈর্য্য হারিয়ে ফেললে ঘাবড়ে যাবেন। মনে ভয় কাজ করবে। তাই ধীরে সুস্থে মাথা ঠান্ডা রেখে প্রশ্নের উত্তর দিন।
মুখে সব সময় হাসি রাখবেন: মুখে হাসি যেন সারাক্ষণ থাকে। সেই দিকে ঠিক ঠাক নজর রাখবেন। যতক্ষণ ওই অফিসে থাকবেন ততক্ষণ মুখে প্লাষ্টিক হাসি লাগিয়েই থাকবেন। আবার দেখবেন যেন দন্ত বিকশিত না হয়। বিরক্তি ভাব কখনই প্রকাশ করবেন না।
সাক্ষাতকারের বিষয় নিয়ে সজাগ থাকবেন: যে বিষয়ে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছেন সেই বিষয় নিয়ে যথেষ্ট সজাগ থাকবেন। সেই বিষয় যদি আপনার ভালভাবে জানা না থাকে তাহলে সঠিক উত্তর দিতে পারবেন না। তাই আগে থেকে বিষয় সম্পর্কে পড়াশোনা করে নেবেন।
ইতিবাচক চিন্তাভাবনা: যখন পরীক্ষা দেবেন বা প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন সব সময় আত্মবিশ্বাসী থাকবেন। নিজের মনকে বলবেন আমি পারব। পারব ভেবে এগোলে অনেক বাধাই অতিক্রম করা যায়। কখনও এটা মাথায় আসবেন না যে আপনার সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষ পরীক্ষা দিচ্ছে তারা আপনার থেকে অনেক ভাল হতে পারে। সেখানে আপনি কোনও জায়গাই পাবেন না। এই চিন্তা করলে কোনও লাভই হবে না। নিজের লাভ কিসে হবে সেই কথা ভাবুন। আর উপভোগ করে পরীক্ষা দিন।