English Version
আপডেট : ১৯ জুলাই, ২০২২ ১২:৫৯

সাবরিনা-আরিফসহ ৮ আসামির ১১ বছরের কারাদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
সাবরিনা-আরিফসহ ৮ আসামির ১১ বছরের কারাদণ্ড

করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও আরিফুল চৌধুরীসহ আট আসামীর ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।এছাড়া সব আসামিকে ১১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। 

এর আগে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে তাদের কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এরপর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানায় তাদের রাখা হয়েছে। 

এদিকে, রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করে রাষ্ট্রপক্ষ। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্টপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। কাজেই তারা খালাস পাবে।

এর আগে গত ২৯ জুন আদালত রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয় ডা. সাবরিনা ও তার স্বামীর প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ার। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়। এরপর ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।

চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরী, সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, জেকেজি হেলথ কেয়ারের নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা ও বিপ্লব দাস। 

২০২০ সালের ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। গত ২০ এপ্রিল মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভূক্ত ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। গত ১১ মে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।