সিআইডির মামলায় ফরিদপুর ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেফতার

ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীম ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। গতকাল রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডির একটি দল। এ মামলায় গ্রেফতার ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য পাওয়ার পর নিশান মাহমুদ শামীমকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডি সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জিসানুল হক জানান, ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দায়ের হওয়া মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় গতকাল বিকালে উত্তরা থেকে নিশান মাহমুদ শামীমকে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২৬ জুন শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে প্রধান আসামি করে অবৈধ উপায়ে ২ হাজার কোটি টাকা আয় ও বিদেশে পাচারের অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করে সিআইডি। সেই মামলায় আদালতের মাধ্যমে রুবেল ও বরকতকে পাঁচদিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। সেই সময় এর সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম প্রকাশ করে রুবেল ও বরকত। স্বীকারোক্তিতে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমকে গ্রেফতার করা হলো। এর আগে এ মামলায় আরো গ্রেফতার হয়েছে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী ও জেলা শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক বেল্লাল হোসেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুন রাতে ফরিদপুর শহরের মোল্লাবাড়ি সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সুবল চন্দ্র সাহা গত ১৮ জুন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ৭ জুলাই পুলিশের বিশেষ অভিযানে সুবল সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় গ্রেফতার হন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ আরো সাতজন। এর পর ঢাকায় সিআইডি বরকত ও রুবেলের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তদন্তে নামে। তদন্তে প্রাথমিকভাবে ২ হাজার কোটি টাকা অবৈধ উপায়ে অর্জন ও পাচারের তথ্য পাওয়া গেলে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করে সিআইডি পুলিশ।