English Version
আপডেট : ১১ অক্টোবর, ২০১৯ ০৭:৪৪
সূত্র:

সম্রাটের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত শনিবার

সম্রাটের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত শনিবার

জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউিট ও হাসপাতালে (এনআইসিভিডি) চিকিৎসাধীন ক্যাসিনো গডফাদার ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

এ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে থাকতে হবে নাকি কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হবে এ বিষয়ে শনিবার সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে মালয়েশিয়া এবং দুবাইতে সম্রাট একাধিক ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।

সম্রাটের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এনআইসিভিডি’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. আফজাল হোসেন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, সম্রাটের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিত্তিতে তার চিকিৎসা চলছে।

সুনির্দিষ্টভাবে কবে নাগাদ তাকে রিলিজ দেয়া হবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়া সম্ভব নয়। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তা গণমাধ্যমকে অবহিত করা হবে। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, দুবাই, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে সম্রাট হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার করেছেন।

মালয়েশিয়া এবং দুবাইতে সম্রাটের একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে বলেও প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে। যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভুইয়া এবং জি কে শামীমও দেশের বাইরে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন। কীভাবে তারা দেশের বাইরে অর্থ পাচার করেছেন এবং এর সঙ্গে কারা সংশ্লিষ্ট এ বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম যুগান্তরকে বলেন, সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা হয়েছে। মামলা দুটির তদন্তভার র‌্যাবের ওপর বর্তানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ওই দুটি মামলায় রিমান্ডে এনে সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হবে।

সম্রাটকে বিদেশে নেয়ার প্রয়োজন নেই : সম্রাটের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা মনে করেন, তাকে এখন বিদেশে নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ তার শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো। গত তিন দিনে সম্রাটের যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে তার সব রিপোর্ট ভালো এসেছে। তার জীবনের কোনো ঝুঁকি নেই। তবে তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বুকে ব্যথা অনুভব করলে কারা কর্তৃপক্ষ সম্রাটকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল ও পরে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার চিকিৎসার জন্য পরিচালককে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এর আগে গত ৬ অক্টোবর ক্যাসিনোর গডফাদার সম্রাটকে সহযোগী আরমানসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব।