English Version
আপডেট : ১৩ আগস্ট, ২০১৮ ০৮:৫০

পর্নোগ্রাফি দেখিয়ে ছাত্রীদের...

অনলাইন ডেস্ক
পর্নোগ্রাফি দেখিয়ে ছাত্রীদের...

পর্নোগ্রাফি দেখিয়ে অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক গড়তে বাধ্য করা হত মেয়েদের। আর এরই এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার এক মুক ও বধির আদিবাসী মেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। পরে অভিযুক্ত হোস্টেলের ডিরেক্টর অশ্বিনী শর্মাকে আটক করে পুলিশ।

আটকের পর অশ্বিনীর বিরুদ্ধে শনিবারের (১১ আগস্ট) মাঝে একই ধরনের আরও চারটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালের সরকারি হোস্টেলে।

আশ্বিনীর বিরুদ্ধে চতুর্থ অভিযোগটি করে একই হোটেলের অন্য এক ছাত্রী। ওই ছাত্রী জানায় অশ্বিনীর সেইসব বিকৃত আবদার না মানতে চাইলেই চলত অকথ্য অত্যাচার। বন্দী করে রাখা হযেছিল তাদের। শুধু তিনিই নন, আরও অনেক মেয়ের উপরই অশ্বিনী এরকম অত্যাচার চালাতেন বলে জানিয়েছেন ওই ছাত্রী। এতদিন ভয়ে কেউ মুখ খোলেননি।

পুলিশের ডিআইজি হরিনারায়ণাচারী মিশ্র জানান, মেয়েটি ইন্দোরের হীরানগর থানায় অভিযোগ করে। তার অভিযোগটি ভোপালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার অশ্বিনীর বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগটি জানিয়েছিলেন, ১৯ বছরের এর মুক ও বধির আদিবাসী যুবতী।

পুলিশ জানিয়েছে, অশ্বিনী তাকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করলেও বাকিদের উপর অত্যাচার চালানোর বিষয়টি এখনও মেনে নেয়নি।

নতুন অভিযোগ সম্পর্কে পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবতী প্রথমে ফোনে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাকে বলা হয় ইন্দোরের থানায় অভিযোগ দায়ের করতে। কারণ তার কাছাকাছি এলাকাতেই তিনি থাকেন। অভিযোগে ওই মেয়েটি জানিয়েছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮-র ফেব্রুয়ারি অবধি হোস্টেলে তার উপর যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ চালিয়েছে অশ্বিনী।

এই মেয়েদের মতো নিজে থেকে এগিয়ে এসে অভিযোগ না করলেও পুলিশ ওই হোস্টেলের রেজিস্টার মিলিয়ে গত তিন বছরে সেখানে আশ্রয় নেওয়া সব মেয়েকেই জিজ্ঞাসাবাদ করবে। অভিযোগ থাকলে, তৎক্ষণাত তা নথিভুক্ত করা হবে। অশ্বিনী শর্মার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব অভিযোগ গুলি একজায়গায় করে তদন্ত করা হচ্ছে।

সেইসঙ্গে ওই হস্টেলের ভবনটি যিনি ভাড়া দিয়েছিলেন, এই ঘটনায় তার কোনও সংযোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।