English Version
আপডেট : ৮ এপ্রিল, ২০১৮ ১১:৪৯

নিষিদ্ধ ওষুধ বাজারে বিক্রি চলছেই!

অনলাইন ডেস্ক
নিষিদ্ধ ওষুধ বাজারে বিক্রি চলছেই!

সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ‘অফকফ্’, ‘তুসকা’ ও ‘ডেক্সপোটেন’ সিরাপ। নিবন্ধন বাতিলকৃত এসব সিরাপের সরবরাহ তো বন্ধ হয়-ইনি , বরং ওষুধের দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যে। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের এহেন অসাধুতা জনস্বাস্থ্যে বড় ধরনের বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে বলে মনে করছে ‘ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর’।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভায় ‘সুডোএফিড্রিন’ দিয়ে তৈরি হয় এমন সবধরনের ওষুধের নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয় অধিদপ্তরকে। ‘স্যুডোএফিড্রিন’ ওষুধের একটি নেশা জাতীয় উপাদান। ঠাণ্ডা ও সর্দিজনিত কারণে নাক বন্ধ হয়ে গেলে এ উপাদানটি ডিকনজেস্টেন্ট (নাকের কার্যাবলি স্বাভাবিক করতে) হিসেবে কাজ করে। কিন্তু উদ্দীপক বা উত্তেজক ক্রিয়ার কারণে এটি নেশা ধরানোর উপাদান হিসেবেও বিবেচিত। তাই অনেকেই কম খরচে নেশা করতে ‘স্যুডোএফিড্রিন’যুক্ত সিরাপ গ্রহণ করে থাকেন। নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০১৭ সালের মার্চে ‘ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর’ ‘স্যুডোএফিড্রিন’ দিয়ে তৈরি সব ওষুধের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে এবং এ জাতীয় ওষুধ উৎপাদক সবগুলো প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে চিঠি দেয়। চিঠিতে তিন মাসের মধ্যে বাজার থেকে এ জাতীয় সব ওষুধ প্রত্যাহারপূর্বক ধ্বংস করে ‘ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর’কে অবহিত করতে বলা হয়।

ওষুধ উৎপাদক অন্য প্রতিষ্ঠান ‘স্যুডোএফিড্রিন’ মেশানো সিরাপ ‘তুসকা’ ও ‘অফকফ’ বাজারজাত বন্ধ না করে সরবরাহ অব্যাহত রাখে। বর্তমানে কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সিরাপ দু’টি বিক্রি করছে উচ্চমূল্যে। সূত্রে জানা যায়, রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার পরও ‘তুসকা’ ও ‘অফকফ’ সিরাপ বাজারজাত ও বিক্রি করার অভিযোগে ২০১৭ সালের অক্টোবরে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডকে কারণ দর্শানোর (শো’কজ) নোটিশ দিয়েছিল ‘ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর’। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ফার্মেসিতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, নিষিদ্ধ ‘তুসকা’ ও ‘অফকফ’ সিরাপ নির্ধারিত মূল্যের দ্বিগুণ ও তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ভাটারা এলাকায় ৬৫ টাকার ‘তুসকা’