English Version
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৬:২১

লাকসামজুড়ে ভেজাল আইসক্রীম

অনলাইন ডেস্ক
লাকসামজুড়ে ভেজাল আইসক্রীম

এদের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই তবুও শিল্পপতির ভূমিকায়। অথচ সরকার প্রতিবছর হারাচ্ছে কয়েক লাখ টাকার রাজস্ব। কুমিল্লার লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্নস্থানে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশতাধিক আইসক্রীম ও বরফ তৈরির কারখানা। এসব কারখানায় নোংরা পরিবেশ ও বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে হরেকরকম ব্র্যান্ডের আইসক্রীম। ফলে এসব নিম্নমান ও ভেজাল আইসক্রীম খেয়ে দুই উপজেলার শিশু-কিশোররা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে।

উপজেলা দুটোর বিভিন্ন হাটবাজারে স্থাপিত প্রায় অর্ধশতাধিক আইসক্রীম ও বরফ তৈরির কারখানার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। বিশেষ করে পরিবেশ, বিএসটিআই, যুব মন্ত্রণালয়, ফায়ার ব্রিগেড, স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের প্রত্যায়নপত্র নেই। অথচ এসব অবৈধ কারখানায় প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে বিষাক্ত কেমিক্যালযুক্ত আইসক্রীম।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় এ ব্যবসা আরও জমজমাট হয়ে উঠেছে। ঋতু পরিবর্তনের কারণে প্রকৃতির তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে এ অঞ্চলের শিশু-কিশোররা খাচ্ছে ওইসব কারখানায় তৈরি প্রিয় পানীয় আইসক্রীম।

এসব আইসক্রীম তৈরিতে কারখানাগুলোর পানির হাউজে শেওলা, আর্সেনিকযুক্ত, অপরিছন্ন পরিবেশ, ধুলোবালুযুক্ত, চিনির পরিবর্তে সেকারিন, দুধের বিপরীতে বিষাক্ত রাসায়নিক পাউডার, নারিকেলের পরিবর্তে দানাযুক্ত সাদা ভূষি, আটা-ময়দা, কালার রংসহ বিভিন্ন বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার হচ্ছে। অন্যদিকে কোন আইসক্রীম তৈরি কারখানায় অভিজ্ঞ কেমিস্ট কিংবা দক্ষ টেকনিশিয়ান নেই। পানি শোধনাগার, পরীক্ষা-নিরীক্ষা সরঞ্জাম ও মলযুক্ত লাইন কিংবা আর্সেনিকমুক্ত কোন বিজ্ঞানাগার নেই। এসব কারখানাগুলোতে শিশু শ্রমিকের সংখ্যাই বেশি যা শ্রম আইনে পরিপন্থি। তাদের কোন প্রশিক্ষণ কিংবা পরিক্ষীত কোন পোষাক কিংবা সরঞ্জাম দেয় না মালিক পক্ষ।

দুই উপজেলার স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশবিদ, বিএসটিআই, শ্রম দপ্তর, ফায়ার ব্রিগেড ও স্বাস্থ্য বিভাগ কর্মকর্তারা জানান, আমরা রাজনৈতিকভাবে চাপে আছি। ওইসব আইসক্রীম কারখানার মালিকরা স্থানীয় ও প্রভাবশালী। বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে বিভিন্ন মাধ্যমে অবগত আছি। বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে শিঘ্রই এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।