English Version
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১১:৩৫

মাদরাসা ছাত্রের ওপর শিক্ষকের এ কেমন বর্বরতা?

অনলাইন ডেস্ক
মাদরাসা ছাত্রের ওপর শিক্ষকের এ কেমন বর্বরতা?

বাবার সাথে দেখা করতে যাওয়ার অভিযোগে মাগুরা শহরের পুরাতন বাজার মদিনাতুল উলুম মাদরাসায় দুই শিক্ষক দড়ি দিয়ে পিছমোড়া বেঁধে মারপিট করেছে ১২ বছরের এক ছাত্রকে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন নিয়ে আলফাজ উদ্দিন (১২) নামের ওই শিশুটিকে শনিবার সন্ধ্যায় মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আলফাজ সদর উপজেলার রায়গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে। আলাউদ্দিন একটি কুরিয়ার সার্ভিস অফিসের কর্মচারী।

শিশুটির বাবা আলাউদ্দিন মিয়া জানান, ছেলেকে হাফেজ তৈরির আশায় ৪ মাস আগে ওই মাদরাসায় দেয়া হয়। সেখানে পড়াকালীন সময়ে সে মাঝে মধ্যে শহরের ঢাকা রোডে তার অফিসে দেখা করতে আসে। তিনি নিজে গিয়ে অথবা ফোন দিয়ে ছেলেকে পাঠিয়ে দেন। শনিবার বিকালে তিনি মাদরাসায় গিয়ে দেখতে পান ছেলে কান্নাকাটি করছে। এ সময় তার কাছে শিক্ষকদের নির্যাতনের বর্ণনা শুনেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকদের নির্যাতনের চিহ্ন দেখে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ ব্যাপারে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে শিশু আলফাজ উদ্দিন জানান, মাদরাসা থেকে গিয়ে বাবার সাথে দেখা করার কারণে মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মো. ইমরান এবং ওস্তাদ ফবিরুল্লাহ তাকে পিছমোড়া করে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারপিট করতেন। তাদের মারের চোটে তার পিঠ, হাত, উড়ু ও পশ্চাতদেশে কালো দাগ পড়ে গেছে। আবারো মারের ভয়ে সে বিষয়টি কাউকে বলতে পারত না।

অভিযুক্ত শিক্ষক মো. ইমরান জানান, প্রায়ই ছেলেটি মাদরাসা থেকে পালিয়ে যেত। বুধবার সে না বলে তার বাবার কাছে চলে যাওয়ার পর তাকে নিয়ে এসে সামান্য শাসন করা হয়েছে। তাকে দড়ি দিয়ে পিছমোড়া করে বাঁধার ঘটনা স্বীকার করে তিনি এ ঘটনাটিকে ভুল হিসেবে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য আলাউদ্দিনের কাছে অনুরোধ জানান।

মাদরাসার পক্ষ থেকে ছেলেটির চিকিৎসার খরচ বহন করার প্রস্তাব দেয়া হয়। মাগুরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. অমর প্রসাদ বিশ্বাস জানান, শিশুটির শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। আমরা তাকে ভর্তি করে নিয়েছি। তার চিকিৎসা চলছে।

এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াছ হোসেন জানান, শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। সূত্র: মানবজমিন