English Version
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৭ ০১:০৫

কি অপরাধে আটক ছিলেন জানেন না রসরাজ!

নিজস্ব প্রতিবেদক
কি অপরাধে আটক ছিলেন জানেন না রসরাজ!
রসরাজ জামিনে মুক্তির পর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অপরাধে আইসিটি আইনের মামলায় আড়াই মাস কারাভোগের পর কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে রসরাজ দাস জানান, কী অপরাধে আমাকে জেল খাটতে হয়েছে তার কিছুই জানি না আমি। ফেসবুকে ছবি দেয়ার ব্যাপারেও আমার কোন কিছু জানা নাই।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। 

রসরাজ আরো বলেন, এক সপ্তাহ ধরে মাছ ধরার জন্য আমি বিলে ব্যস্ত ছিলাম। বিল থেকে আসার পর কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৫-৬ জন লোক আমাকে মারধর করে ধরে নিয়ে যান। তারা আামকে কোনকিছু বলারও সুযোগ দেয়নি।

তার আইডি থেকে ফেসবুকে ছবি পোস্টের ব্যাপারে তিনি বলেন, যে ছবিটি নিয়ে এতকিছু হয়েছে সেই ছবিটি আমি এখনো দেখিনি। ছবিটিকে ফেসবুকে ছড়িয়েছে তাও আমি জানি না। ঘটনার মাস তিনেক আগে আমার চাচাতো ভাই হৃদয় ফেসবুক আইডিটি আমাকে খুলে দিয়েছিল। আইডি খোলার পর আমি আর সেটি চালাইনি। আমি জানি না সেটি কিভাবে ফেসবুকে আসল।

কারাগার থেকে বের হয়ে মামা ইন্দ্রজিৎ দাস, বড় ভাই দয়াময় দাস ও ভগ্নিপতি নেপাল চন্দ্র দাসের সঙ্গে নিজ বাড়ি নাসিরনগরের হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামে যান রসরাজ।

ফেসবুকে পবিত্র কাবা শরীফকে ব্যঙ্গ করে ছবি পোস্ট দেয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় দায়ের করা আইসিটি আইনের মামলায় রসরাজকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গেল বছরের ৩০ অক্টোবর আদালতে পাঠায় পুলিশ। 

৮ নভেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে রসরাজের জামিনের শুনানি হয়। সেখানে রসরাজের জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। ২ ডিসেম্বর জামিন আবেদনের পর জেলা ও দায়রা জজ আদালত শুনানি শেষে ৩ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

ওই দিন আদালত রসরাজের উপস্থিতিতে জামিন শুনানির জন্য সোমবার (১৬ জানুয়ারি) পরবর্তী দিন ধার্য করেন। সে অনুযায়ী সোমবার (১৬ জানুয়ারি) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো ইসমাঈল হোসেন রসরাজের অন্তর্বর্তিকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।