English Version
আপডেট : ১১ জানুয়ারি, ২০১৭ ২০:৫০

‘প্রকৃত খুনিরা এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে’

এল এন শাহী,
নিজস্ব প্রতিবেদক
‘প্রকৃত খুনিরা এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে’
এমপি লিটনের বোন কাকলী

গাইবান্ধা: গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের ছোট বোন ও হত্যা মামলার বাদী ফাহমিদা বুলবুল কাকলী শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন ১১দিনেও প্রকৃত হত্যাকারী গ্রেফতার হয়নি। যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি দেখছেন। আর প্রশাসনেরও এখন পর্যন্ত তৎপরতা দেখছি। সেহেতু আমরা ভেবেছিলাম এর মধ্যে কিছু একটা জানতে পারবো। তা যখন, পাইনি-তাতে মনে হয় ওনাদের আর একটু টাইম লাগবে। লাগুক, আমরা আর একটু অপেক্ষা করবো। যাতে আমার ভাইয়ের প্রকৃত হত্যাকারীরা ধরা পড়ে। তাদের যেন বিচার হয়। তাড়াহুড়া করতে গেলে হয়তো কোন ভুল সিদ্ধান্ত হোক। তা আমরা চাই না। দেখতে দেখতে ১১দিন হয়ে গেল। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকৃত খুনিরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। 

বুধবার বিকালে নিজ বাড়ির উঠানে বড় ভাই এমপি লিটনের কবরের পাশে দ্বাড়িয়ে আমাদের প্রতিনিধি এল. এন শাহীকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন- প্রায়ত এমপি লিটনের ছোট বোন ও এমপি লিটন হত্যা মামলার বাদী ফাহমিদা বুলবুল কাকলী। এসময় তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন- এটা একটা স্বাধীনতা বিরোধীচক্র বা জামায়াত-শিবির প্রবণ এলাকা।  তাই এই এলাকার মানুষ যাতে স্ব¯িত্মতে বসবাস করতে পারেন । সে জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করব। এরপর তিনি কান্না বিজরিত কণ্ঠে ভাইয়ের প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেফতার  ও বিচারার্থে সাংবাদিক, প্রশাসনসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেক দৃষ্টি কামনা করেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের শেষ দিন (৩১ ডিসেম্বর) শনিবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এমপি লিটনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার ছোট বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় হত্যাকারীদের গ্রেফতারে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকায় এ পর্যšত্ম এ মামলায় অর্ধশতাধিক আটক হয়েছে। তার মধ্যে বিজ্ঞ আদালত ৮ জনের রিমা- মঞ্জুর করায় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে প্রশাসনের নির্ভর সুত্র জানিয়েছে।