English Version
আপডেট : ১১ জানুয়ারি, ২০১৭ ১৪:৪৪

রেলওয়ে পুলিশের প্রকাশ্য চাঁদাবাজি (ভিডিও)

অনলাইন ডেস্ক
রেলওয়ে পুলিশের প্রকাশ্য চাঁদাবাজি (ভিডিও)

ঢাকা: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রেল একটি জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম হলেও বাংলাদেশে রেলের গতী ঠিক তার উল্টো। লক্কঝক্কর, নিরাপত্তাহীন বগি, শিডিউল বিপর্যয়, টিকিট কেটেও সিট না পাওয়া, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতিসহ বহু কারণ জড়িয়ে আছে রেলপথকে ঘীরে। 

বাংলাদেশে রেলওয়ের কার্যক্রম শুরু হয় ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে। ঊনবিংশ শতাব্দিতে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন রেল কোম্পানি ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে ছোট ছোট রেলপথ সেকশন চালু করতে থাকে। প্রথমদিকে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক কাজের জন্য রেলপথ চালু করা হয়। ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে নামক কোম্পানি প্রথম বাংলাদেশে রেলপথ স্থাপন করে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে বাংলাদেশের সরকারি রেল পরিবহন সংস্থা। এর সদর দপ্তর ঢাকায়। ১৯৯০ সাল থেকে রেল মন্ত্রণালয়ের অধীন নিজের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। 

বাংলাদেশে বর্তমানে রেলপথের দৈর্ঘ্য ২ হাজার ৭৩৮ কিলোমিটার রেলপথ চালু আছে: ব্রডগেজ এবং মিটারগেজ। দেশের পূর্বাঞ্চলে মিটার ও ব্রডগেজ উভয় ধরণের রেলপথ বিদ্যমান, অবশ্য পূর্বাঞ্চলে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশন হতে ঢাকা পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথও রয়েছে। পূর্বে ন্যারোগেজ রেলপথ চালু থাকলেও, এখন আর তা ব্যবহার হয় না। 

গত ৮ জানুয়ারি তারিখে খুলনা থেকে সৌয়েদপুরগামী রুপসা ট্রেনে টিকিট ম্যানেজ করে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে এভাবে ঘুষ নিয়ে টিকিট না দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছে। রেলওয়ে পুলিশের সিমাহীন চাঁদাবাজি কিছুটা আঁচ করাযায় এই ভিডিও চিত্র থেকে।